আজ ১৫ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। পারিবারিক বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ়করণ ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূলত এ দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ বছর আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের মূলসুর হচ্ছে “টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবার-ভিত্তিক নীতিমালা”।
পরিবার দিবস হল সেই মূল্যবোধের উদযাপন যা পরিবারগুলিকে একত্রে আবদ্ধ করে: ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সমর্থন। এটি পরিবারগুলিকে ভাগ করা অভিজ্ঞতা এবং একসাথে কাটানো মানসম্পন্ন সময়ের মাধ্যমে তাদের বন্ধন পুনরায় সংযুক্ত এবং শক্তিশালী করার সুযোগ প্রদান করে ।
আমাদের দেশে পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসছে। শহর ও গ্রামের বাড়িতে এখন বড় পরিবার কম খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও পরিবারের আকার ছোট হয়ে এলেও পরিবারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ নতুন করে পরিবার দেখা দিচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৯৩ সালের ১৫ই মে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পরিবার দিবস ঘোষণা করা হয়।
এর দুই বছর পরে ১৯৯৫ সাল থেকে সমগ্র বিশ্বে প্রতি বছর এ দিনটি আন্তর্জাতিক ভাবে পরিবার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সমাজের মৌলিক ভিত্তি হলো পরিবার। পরিবারেই মানুষ পায় ভবিষ্যৎ জীবনের পথ নির্দেশনা। জীবন আসলে গড়ে ওঠে এখান থেকেই। মানুষের সর্বপ্রথম বিদ্যাপীঠও বলা হয় পরিবারকে।
পারষ্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা ও দৃঢ় ভালোবাসার বন্ধনের মাধ্যমে পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ সমাজের সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করে থাকে। তাই পরিবার হলো মানুষের জন্য স্বপ্নডাঙ্গা। মানুষের জীবনে পরিবারের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
পরিবার দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো পারিবারিক বন্ধন টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি ও জীবনমান উন্নয়নে পরিবারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া।
আজকের এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসে আমাদের আশা, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে যেন পারস্পরিক ভালবাসা অক্ষুন্ন থাকে আর প্রতিটি পরিবার বসবাস করুক সুখ ও শান্তিতে।- আরভিএ বাংলা বিভাগ
