বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের অলটার সার্ভার ও সান্ডেস্কুল ছেলে-মেয়েদের দীশারিতে বড়দিনের প্রীতি সম্মেলন

গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪,দীশারি পাস্টারাল সেন্টারে  বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের  অলটার সার্ভার ও সান্ডেস্কুল ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বড়দিনের প্রীতিসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।ধর্মপল্লীর দূর দূরান্ত থেকে ছেলে-মেয়েরা উক্ত অনুষ্টানে যোগদান করে।

সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ক্যাথিড্রালে মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রায় ২৭০ জন শিশু এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিল।

সম্মিলিত ভাবে খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন রেভাঃ বিশপ শ্যামল সহ ফঃ দীপক এক্কা,ফ:উত্তম নস্কর,:ফ: সরজিৎ  মণ্ডল ,ফঃ সৌমেন মালিক, ফঃ রাজেন,ফঃ ফ্রান্সিস মাখাল,ফঃ গৌতম, ফঃ হেনরি ক্রাস্তা, ফঃ রমেন  পৈলান ফঃ অলক কাঁজি.প্রদীপ রয় ফঃ দীপক এক্কা প্রমুখ পুরোহিতবর্গ।পৌরহিত্য করেন মাননীয় ধর্মপাল শ্যামল বোস।  

খ্রীষ্টযাগের  শুরুতে বিশপ মহোদয় আগত সকল  শিশুদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে তিন পণ্ডিতের পার্বণ তথা যীশুর আত্ম প্রকাশের দিনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা  করেন।

উপদেশে বিশপ নীল আর্মস্ট্রং ও টীমের চন্দ্রঅভিযানের সূত্র ধরে প্রাচ্চদেশের তিন পণ্ডিতের যীশুর খোঁজে বেথলেহেমে আসার  তুলনা করেন।  কিভাবে পায়ে হেঁটে ৯০০ মাইল পথ অতিক্রম করে তাঁরা যীশুর সন্ধান পান। "আমাদের ও সেই ভাবে যীশুকে পাবার জন্য কষ্ট করতে হবে"। তিনি বলেন।

খ্রীষ্টযাগ শেষ হতেই সম্মিলিত ফোটো সেশন শেষ করে সকলে দীশারিতে জমায়েত হয়।শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব।

অতিথি বরণ ও অগ্নি প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে দিনের  দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। অগ্নি প্রজ্জ্বোলনে অংশ নেন মাননীয় বিশপ শ্যামল বোস,চন্দনা রোজারিও, সিঃ সাস্মিতা,ফঃ গৌতম নস্কর ও সান্ডেস্কুলের শিশুদের এক প্রতিনিধি। 

এরপর বিপুল উৎসাহ নিয়ে শুরু হয় দিনের মূল আকর্ষণ স্কিট কম্পিটিশন তথা প্রতিযোগিতা। ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী ও সাব স্টেষণৈর প্রায় ১৩ টি  দল এই প্রতীযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। সেরা নির্বাচন করতে বিচারকদের যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছিল। অবশেষে হোগলকুড়িয়া প্রথম,ক্যাথিড্রাল দ্বিতীয় ও মগরাহাট  তৃতীয় স্থান দখল করে।

বিশপ মহোদয় তাঁর বার্তায় প্রত্যেক প্রতিযোগী কে অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানান ও পিতা মাতার বাধ্য হয়ে  জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরামর্শ দেন।

 সবশেষে ফঃ গৌতম সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্রাদার উত্তমের সুন্দর সঞ্চালনা ও ঠাকুরপুকুর কয়ারের খ্রীষ্টযাগে গান, সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল শেষে।সকলকে উপহার দান ও মধ্যাহ্ন ভোজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।