সাধ্বী মাদার তেরেসার ১১৪ তম জন্মদিন উদযাপন করল কলকাতার সাধ্বী তেরেসা ধর্মপল্লীর সানডে স্কুলের শিশুরা
বিগত ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতার এজেসি বোস রোডে অবস্থিত মাদার হাউসে সাধ্বী তেরেসা গির্জার সানডে স্কুলের শিশুরা মাদার তেরেসার সম্মানার্থে একটি প্রাক জন্মদিন অনুষ্ঠান উদযাপিত করে।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় গির্জা প্রাঙ্গণে সানডে স্কুলের বাচ্চাদের এবং সানডে স্কুলের শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে। এই প্রার্থনা পরিচালনা করেন মিশনারিজ অফ চারিটির সিস্টারগণ এবং ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জর্জ আন্তুনী।
এইদিন এম.সি. সিস্টার মারিয়া রুহ এবং সিস্টার রোসেলা মাদারের জন্মদিন স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যেখানে তারা মাদারের জীবনী এবং তাঁর কর্মধারাকে অন্যদের মাঝে তুলে ধরেন। এরপর মাদার হাউসের সিস্টাররা মাদারের সমাধিস্থলে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন এবং পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এরপর আগত সানডে ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে সিস্টার মারিয়া রুহ এই বিশেষ দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন।ক
কর্মসূচী সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার পর, ছাত্র-ছাত্রীদের মাদারের বিশ্রাম নেবার ঘরটিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দেখানো হয় যে কিভাবে মাদার তেরেসা খুব সাধারণ জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবন অতিবাহিত করতেন এবং তাঁর সারাটা জীবন রাস্তার দুস্থ-আর্ত মানুষদের সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন।
পরবর্তীতে বাচ্চাদের মাদার হাউজের মিউজিয়াম পরিদর্শন করান হয় এবং মাদার তেরেসার বিভিন্ন নিদর্শন দেখানো হয়।
মিউজিয়াম পরিদর্শনের পর, তাদের চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেই জায়গাটি দেখান হয় যেখানে মাদার তেরেসা বসে প্রার্থনা করতেন।
এরপর সিস্টাররা জপমালার জন্য বাচ্চাদের মাদারের সমাধিতে নিয়ে যান। এই পবিত্র জপমালা প্রার্থনায় তাদের সঙ্গে যোগ দেন সানডে স্কুলের শিশুদের অভিভাবকরাও। জপমালার পর পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জর্জ আন্তুনী। ফাদার জর্জ তার উপদেশে মাদারের শেখান বিভিন্ন শিক্ষা তুলে ধরেন।
এরপর সেই পবিত্র মুহূর্ত আসে যখন ফাদার আগত সকল শিশুদের উদ্দেশ্যে এবং তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মাদারের র্যালিক নিয়ে বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেন।
সুন্দর এই মর্মস্পর্শী অনুষ্ঠানের জন্য ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে মিশনারিস্ অফ চারিটির সিস্টারদের বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
সবশেষে সানডে স্কুলের শিশুদের হাতে আওয়ার লেডি অফ গ্রেস অফ মিরাকুলাসের একটি করে মেডেল, লিফলেট এবং চকলেট তুলে দেন মিশনারিস্ অফ চারিটির সিস্টাররা। প্রতিবেদন - ডমিনিক পাঞ্জা, অনুলেখন- তেরেসা রোজারিও