ঢাকার ওয়ারীতে তেলেগু কমিনিউনিটিতে মা মারীয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে বিশেষ খ্রিস্টযাগ

গত ১৭ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, পুরানো ঢাকার ওয়ারীতে অবস্থানরত তেলেগু কমিউনিটিতে কুমারী মারীয়ার মাসকে  কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ খ্রিস্টযাগ।

 পবিত্র খ্রিষ্টযাগের পূর্বে কুমারী মারীয়ার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদনার্থে  ভবনের ১ম তলা থেকে ৯ম তলা পযর্ন্ত  মোমবাতি এবং কুমারী মারীয়ার প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে  তাদের নিজস্ব কৃষ্টির গান গেয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পবিত্র খ্রিষ্টযাগের বেদীমূলে প্রবেশ করেন।

পবিত্র এই খ্রিস্টযাগে দুইজন হলিক্রস সেমিনারীয়ান, কয়েকজন মাদার তেরেজা এবং আরএনডিএম সম্প্রদায়ের সিস্টারসহ তেলেগু ভাইবোন প্রায় ১০০ জনের মতো উপস্থিত ছিলো।

 পবিত্র খ্রিস্টযাগ অর্পন করেন  লক্ষ্নীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত ফাদার উজ্জ্বল লিনুস রোজারিও এবং সহোর্পিত করেন ফাদার সাই পিমে । উপদেশবাণীতে  ফাদার বলেন আমরা বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ একত্রে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা পারস্পারিক সাহায্য সহোযোগিতা  লাভ করি। তিনি তেলেগু কমিউনিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে তারা যেন তাদের কর্ম পরিচয়ের জন্য লজ্জাবোধ না করেন। কারন কোন কাজই ছোট নয়।

ভালোবাসা দিয়ে কাজ করলে সকল কাজই সুন্দর এবং সকল কাজেই সফলতা আসে বলেন ফাদার রোজারিও।

জানা যায় যে,যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বিভিন্ন সরকারী কর্মী তাদের জন্য সরকার থেকে কোয়ার্টার দেওয়া বরাদ্দ ছিলো। গত বছর এই বরাদ্দ পাশ করায় তারা বর্তমানে এই সুন্দর কয়েকটি ভবন  পেয়েছে । তার জন্য ও তারা এই পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎস্বর্গ করেছেন। এখন তারা সকলেই প্রায় একসাথে এই বাসস্থানগুলোতে পরিবার নিয়ে বাস করছে।

বাংলাদেশের তেলেগু সম্প্রদায়ে সিংহভাগ লোক হিন্দু ধর্মাবলম্বী, খ্রিস্টধর্মাবলম্বী রয়েছে কিছু অংশ এবং অন্যান্য। একজন তেলেগু সমাজনেতার মতে তেলেগু কমিউনিটি সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয় আনুমানিক ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

তবে বর্তমানে প্রায় ২০টি তেলেগু কাথলিক পরিবার পবিত্র ক্রুশের গীর্জা, লক্ষীবাজার ধর্মপল্লীর অন্তর্ভুক্ত।

তেলেগু এক সদস্য তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন , এই বাসস্থান পাওয়ার পর সারা দিন কাজ করে ঘরে  ফিরে এখন শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারি এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। আর আমাদের আধ্যাত্নিক এবং মানসিক যত্নের জন্য ফাদার এবং সিস্টারদের সহযোগিতা আমরা সবসময় পাই। সংবাদ - আরভিএ