রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল “সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব”

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব উদযাপন

গত ১৩ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব উদযাপন করা হয়।

এই ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব উপল্লখে তীর্থের পূর্বে খ্রিস্টভক্তগণ আধ্যাত্নিক প্রস্তুতিস্বরূপ নয়দিন ব্যাপি নভেনা প্রার্থনা করেন।

তীর্থের খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং সহার্পিত খ্রিষ্টযাগে অংশ নেন  ভিকার জেনারেল, চ্যান্সেলর সহ ১৫ জন ফাদার ও ২জন ডিকন এবং ধর্মপ্রদেশে কর্মরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ সহ প্রায় কয়েক হাজার  খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহন করেন।

বিশপ মহোদয় তার উপদেশ বানীতে বলেন, "হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনী অনেক জনপ্রিয়। একবার বনানী সেমিনারিতে থাকাকালীন সময়ে খেলতে গিয়ে আমার ঘড়ি কোথায় রেখেছি তা মনে করতে পারছিলাম না। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং ঘড়িটি ফিরে পেয়েছি। এটা সাধু আন্তনীর একটা অলৌকিক কাজ বলা যায়।”

বিশ্বের অনেক মানুষ এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে বর্তমান সময়ে আমাদের হারানো বিশ্বাস ও ভক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করতে হবে। ঈশ্বরের সাথে সুন্দর সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করতে হবে", বলেন বিশপ জেভার্স ।

বিশপ  আরো বলেন, “আমাদের পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রার্থনা অর্থাৎ রোজারিমালা যা ক্যাথলিকদের একটি সুন্দর ঐতিহ্য যা দিন দিন বিলুপ্তির পথে সেই ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আসুন সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতা কামনা করি।”

সাধু আন্তনীর কাছে আমরা হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের উচিত ঈশ্বরের সাথে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক ও বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করবো”, বলেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও।

আন্তনীভক্ত এক যুবক শান্ত টুডু বলেন, “অনেক সুন্দর অনুভূতি এ পর্বে যোগদান করতে পেরে। অনেক মানুষ তাদের মানত পূরনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে এসেছেন এবং অনেকে মানত করছেন। আমিও আজকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সাধু আন্তনীর নিকট মানত করেছি।”

আরেকজন যুবতী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “যদিও অনেক গরম তারপরও অনেক মানুষ এ পর্বে যোগদান করে সাধু আন্তনীর আশীর্বাদ লাভ করছে আর এটি নিঃসন্দেহে আমাদের ভক্তি, বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করে তোলে।”

পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে আশীর্বাদিত বিস্কুট বিতরন করার মধ্যদিয়ে এই তীর্থোৎসবের সমাপ্তি করা হয়। - লর্ড রোজারিও