পরলোকগত যীশু-সঙ্গী সমাজের সন্ন্যাসী ফাদার জন এঙ্গেলবার্ট এর ৯৫ তম জন্মজয়ন্তী।
বিগত ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতার প্রভু যীশুর গির্জাতে উদযাপিত হল পরলোকগত যীশু-সঙ্গী সমাজের সন্ন্যাসী ফাদার জন এঙ্গেলবার্ট এর ৯৫ তম জন্মজয়ন্তী।
অনুষ্ঠানের শুরু হয় খ্রীষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে। খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার কুরিয়ান এমপ্রাইল এস.জে., সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার সিরিয়াক সেবাস্টিন এস. জে. এবং ফাদার দীপক গোমেজ এস. জে.।
এই স্মৃতি বিজড়িত অনুষ্ঠানে রাঘবপুর সাধু যোসেফের গির্জা, ডানকুনি, প্রভু যীশুর গির্জা, ক্রাইস্ট দ্যা কিং গির্জা, ঠাকুরপুকুর, মরাপাই সাধ্ধী তেরেজার গির্জা, সজনেবেরিয়া, কল্যাণপুর ইত্যাদি সকল ধর্মপল্লী থেকে খ্রিস্টীয় জীবন সংঘের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আগত বর্ষিয়ান খ্রিস্টীয় জীবন সংঘের সদস্যা শ্রীমতি মলিনা ভিনসেন্ট বলেন “আজ আমার এত বয়সে যা কিছু করতে পেরেছি তার মনে রয়েছেন ফাদার এঙ্গেলবার্ট । জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে শিখিয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁকে চির স্মরণে রাখতে চাই আমার কাজের মধ্যে দিয়ে, দুস্থ ভাইবোনেদের সেবা করার মধ্যে দিয়ে।“
খ্রীষ্টযাগ, স্মৃতিচারণ এবং ফাদারের উদ্দেশ্যে সমবেতভাবে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, পাশ্চাত্যের এক ব্যক্তি যিনি ভারত স্বাধীনতার পূর্বে রবীন্দ্র রচনায় আপ্লুত হয়ে ভারতে সেবামূলক কাজ করার প্রতি অনুরাগী হন তিনি হলেন এই যীশু-সঙ্গী সন্ন্যাসী ফাদার জন এঙ্গেলবার্ট।
বাংলা ভাষায় পুণ্য উপাসনার পরিকাঠামো গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
দ্বিতীয় ভাটিকান মহা সভায় নির্দেশিত বিষয়গুলি প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এই যীশু সঙ্গী সন্ন্যাসী।
এর পাশাপাশি সাধারণ যুবক- যুবতীদের সমাজে নেতা গঠনে ক্ষমতায়ন করেছিলেন খ্রিস্টীয় জীবন সংঘের মধ্যে দিয়ে।
বিগত ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ বেলজিয়াম দেশের রাজধানী ব্রাসেলসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সন্ন্যাসী। - অসীম ক্যাম্পো