কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত ডমিনিক সাভিও স্কুলে সাধু ডমিনিক সাভিও পার্বণ ও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন উৎসব

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত ডমিনিক সাভিও স্কুলে সাধু ডমিনিক সাভিও পার্বণ ও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন উৎসব

বিগত ৬ই মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, প্রতি বছরের মতো এবছরও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত ডমিনিক সাভিও স্কুলে স্কুলের প্রতিপালক সাধু ডমিনিক সাভিও পার্বন ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব মহাসমারহে পালিত হলো।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্কুলে সাধু ডমিনিক সাভিও-এর মূর্তিতে মাল্যদান ও আরতি করা হয়। এরপর প্রার্থনা নিবেদন করা হয়।

প্রার্থনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের রাঘবপুর ধর্মপল্লীর গির্জার অনুষ্ঠান কক্ষে নিয়ে আসা হয় সেখানে শিক্ষিকা তমালিকা মৈত্রের অনুষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অর্থাৎ মূল পর্ব।

মূল পর্বের প্রথমেই স্কুলের প্রতিপালক সাধু ডমিনিক সাভিও ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে মাল্যদান করেন ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার সরোজ বিশ্বাস মহাশয় এবং আরতি করেন প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার রুমলা লাকড়া।

এরপর ফাদার সরোজ একটি মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এরপর চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীরা একটি প্রার্থনা সংগীতের ওপর নৃত্য পরিবেশন করে। ডমিনিক সারভিও স্কুলের প্রতিটি শ্রেণী থেকে একটি বা দুটি করে রবীন্দ্র সংগীতে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ পরিবেশন ছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রদের কৌতুক নৃত্য।

অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্বে থাকে প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার রুমলার ধন্যবাদ জ্ঞাপন। তিনি বলেন- "অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে যাদের জন্য তারা হলেন ডমিনিক সাভিও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ, শিক্ষা কর্মীবৃন্দ ও অভিভাবক বৃন্দ। শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুত করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সঙ্গে যাতে প্রতিভার বিকাশ ঘটে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই দিকেও নজর দেন ও বিভিন্ন শিক্ষণীয় কার্যকলাপের শিক্ষা প্রদান করেন। শিক্ষা কর্মীবৃন্দের সাহায্য ছাড়া অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত হতে পারে না। সর্বোপরি অভিভাবকের সাহায্য ছাড়া বাচ্চাদের তৈরি করা এবং তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হতো না।"

অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে অভিভাবকরা বলেন- "আমাদের বাচ্চারা এই বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র পঠন পাঠন নয়, সঙ্গে তাদের সার্বিক প্রতিভার উন্নতিতে অনেক সাহায্য পাচ্ছে।"

অনুষ্ঠানের শেষে ছাত্রছাত্রীদের টিফিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি পালনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ সকলেই খুব খুশি হন। প্রতিবেদনে - ভাস্বতি রাউত ভঞ্জ