বনপাড়া লূর্দের রাণী মারিয়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব আহ্বান দিবস

গত ১১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বনপাড়া লূর্দের রাণী মারিয়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো অর্ধদিবসব্যাপী বিশ্ব আহ্বান দিবস।
এ বছর আহ্বান দিবসের মূলসুর ছিল “আশার তীর্থযাত্রী: জীবনের একটি উপহার”। এতে ধর্মপল্লীর ফাদার, সিস্টারসহ ১২০জন ছেলেমেয়ে অংশগ্রহণ করে।
পবিএ খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে বিশ্ব আহ্বান দিবস শুরু করা হয়। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা।
তিনি তাঁর উপদেশ বাণীতে বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের জীবন হলো ঈশ্বরের দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার, তাই প্রতিটি জীবনকে ভালবেসে মঙ্গলময় কাজে সর্বদা যুক্ত রাখতে হবে।”
“সুন্দর মনের মানুষ হিসেবে আমাদের প্রধান কাজই হলো ঈশ্বরের ডাক বা আহ্বান শোনা বা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা,” বলেন ফাদার কস্তা ।
খ্রিস্টযাগের পর মূলসুর ও ধর্মপ্রদেশীয় যাজকদের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে সহভাগিতা করেন পোপ ষষ্ঠ পল সেমিনারীর পরিচালক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন।
এছাড়া ধর্মপল্লীর সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার শ্যামল জেমস্ গমেজের উপস্থাপনা, জীবন সহভাগিতা এবং এসএমআরএ, শান্তি রাণী, পিমে ও আরএনডিএম সিস্টার সম্প্রদায় সম্পর্কে সিস্টারগণ সহভাগিতা করেন।
পরিশেষে, অংশগ্রহণকারীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আহ্বান দিবস উদযাপন সমাপ্ত করা হয়।
পুনরুত্থান কালের চতুর্থ রবিবারে বিশ্বমণ্ডলীতে পালিত হয় উত্তম মেষপালকের পর্ব। একই দিনে মাতামণ্ডলী খ্রিস্টবিশ্বাসী সকলকে আহবান করে আহবানের জন্য প্রার্থনা করতে ও ধর্মীয় জীবনাহহ্বান সম্বন্ধে সচেতন হতে।
নিজেদের সর্বোচ্চ ভালোকে অন্যের সঙ্গে সহভাগিতা করা ও পরকল্যাণ করা ধর্মীয় আহবানের মূল উদ্দেশ্য। খ্রিস্টীয় আহবান হলো 'ভালোবাসার একটি ডাক।' এই ভালোবাসা মানুষকে তার নিজের বাইরে নিয়ে যায়।
নিজেকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে এবং আত্মনিবেদনের মধ্যদিয়ে নিজেদের উর্ধ্বে উঠতে সহায়তা করে। তাই প্রকৃত অর্থে ধর্মীয় আহ্বান হলো নিজেকে এবং ঈশ্বরকে আবিষ্কার করার বিশেষ 'যাত্রা'।
নিজেদের সকল সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতা, সবলতা, শক্তি ও সামর্থ সম্পর্কে জেনে নিজেদের সর্বোচ্চ ভালকে অন্যের সঙ্গে সহভাগিতা করা ও কল্যাণ করা আহ্বানের উদ্দেশ্য।
ধর্মীয় আহ্বান হলো ঐশ নিমন্ত্রণে আত্মসমর্পণ যা একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি বিনম্র চিত্তে ঈশ্বরের ডাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিজেকে সঁপে দেয়। - ফাদার শ্যামল জেমস্ গমেজ