বনপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল “প্রতিষ্ঠিত বাণী ঘোষক ও বেদী সেবক” লাভ অনুষ্ঠান
গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, লূর্দের রাণী মারিয়া ধর্মপল্লী বনপাড়াতে অনুষ্ঠিত হল “প্রতিষ্ঠিত বাণী ঘোষক ও বেদী সেবক” লাভ অনুষ্ঠান।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের শুরুতেই ছয়জন বাণী পাঠক ও পাঁচজন বেদী সেবক প্রার্থীগণ নিয়ে সেবক ও যাজকগণ শোভাযাত্রা করে গির্জাঘরে প্রবেশ করেন।
মঙ্গলবাণী পাঠের পর প্রার্থীদের আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে উপদেশের পর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা বাণীপাঠক সেবা-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা ও পবিত্র শাস্ত্র গ্রস্থ প্রদান করেন এবং বেদীসেবক সেবা-দায়িত্ব ও খ্রিস্টপ্রসাদীয় রুটির পাত্র প্রদান করেন।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে ফাদার দিলীপ এস. কস্তা বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেই ভালোবাসার মানুষ হতে হবে এবং প্রতিবেশীকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আজ ছয়জন বাণী পাঠক ও পাঁচজন বেদী সেবক সেবা দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ থেকে ঐশবাণীর পাঠক ও বাহকরূপে এবং যিশুর যাজকীয় ও পালকীয় কাজের সহায়করূপে তোমরা এই দায়িত্ব পালন করবে।”
“একই সাথে উপাসনা অনুষ্ঠানে তোমরা সেই বাণী ঘোষণা করবে। সেই সাথে বেদীসেবক প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আজ থেকে মাণ্ডলিক জীবনের সর্বোচ্চ শিখর ও উৎস হলো পবিত্র খ্রিস্টযাগ; যা খ্রিস্টীয় মিলন-সমাজ গড়ে তোলে এবং বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে এবং যাজক ও ডিকনকে তাদের সেবাকার্যে সাহায্য করাই তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য”, বলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত কস্তা।
পরিশেষে ঈশ্বরের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা নিদর্শন হিসেবে, আমাদের সদ্য প্রতিষ্ঠিত বেদীসেবকদের সাধুবাদ ও গোলাপ ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। - রিজেন্ট শিবলাল মার্ডী