রাঘবপুর সাধু যোসেফ ক্যাথলিক গির্জায় যীশুর পুনরুত্থান মহোৎসব অনুষ্ঠান
গত ৩০শে মার্চ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, পুণ্য শনিবার ভারতীয় সময় রাত্রি ১০:৩০ মিনিটে আলোক উৎসবের মধ্যে দিয়ে উপাসনার শুভ সূচনা হয়। পুনরুত্থান দীপ অর্থাৎ মোমবাতি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই মোমবাতির আলোই যে খ্রীষ্টের জ্যোতি এই বিশ্বাসে আমরা বিশ্বস্ততা লাভ করি। এখানে উপস্থিত সকল খ্রীষ্ট ভক্তদের হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি রাখা হয়। এটাই প্রমাণ করা হয় যে খ্রীষ্টই জগতের আলো।
এই পুনরুত্থান দীপ কে উদ্দেশ্য করে আলোক বন্দনা করা হয়। তারপর ঐশবানী ঘোষণা করা হয়।
পবিত্র মিশা উৎসর্গ করেন পাল পুরোহিত ফাদার যোসেফ টোপ্প্ এস.জে, ফাদার জেভিয়ার্স এস.জে.,ফাদার ই এস যোসেফ এস.জে. প্রমুখ।
এক এক করে প্রথমে আদি পুস্তক থেকে ঈশ্বর কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন, তারপর বিশ্বাসের পিতা আব্রাহামের কাহিনী, যাত্রা পুস্তকে মোশির লোহিত সাগরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরির কাহিনী, প্রবক্তা ইসাইয়ার গ্রন্থ থেকে
মনোনীত জাতির প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা ইত্যাদি পাঠ করে শোনানো হয়। রাত্রি ঠিক বারোটার সময় মহিমা স্তোত্র-এর মধ্যে দিয়ে প্রভু যীশুর পুনরুত্থানের প্রকাশ ঘটে। এরপর ধর্মপত্র পাঠ এবং মঙ্গল সমাচার পাঠ করা হয়।
প্রভু যীশু পুনরুত্থান লাভ লাভের মধ্যে দিয়ে আমরা প্রত্যেকেই নবজীবন লাভ করেছি এই বিশ্বাসে বিশ্বস্ত হয়ে উপস্থিত সকল খ্রীস্টভক্ত পুনরায় দীক্ষাস্নান মন্ত্রে দীক্ষিত হন। যাজক নতুনভাবে জল আশীর্বাদ এবং সকলের উপর তা সিঞ্চন করেন।
তারপর উৎসর্গ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রভু যীশুকে রুটি ও দ্রাক্ষারস আকারে বেদীতলে আনায়ন করা হয়। তারপর পিতার চরণে উৎসর্গ করে সকল খ্রীস্ট ভক্তকে বিতরণ করা হয়।
এই ভাবে অগণিত খ্রীস্টভক্তদের নিয়ে প্রভু যীশুর পুনরুত্থান মহোৎসব পালন করা। সবশেষে পাল পুরোহিত মহাশয় সকল ধর্মপল্লীবাসীকে পাস্কা পর্ব উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেন।-তন্ময় মন্ডল