কলকাতার সাধ্বী তেরেসা গির্জার সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনীর ১২০ তম পর্ব উদযাপন
গত ১৩ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতার মৌলালিতে অবস্থিত সাধ্বী তেরেসা গির্জায় সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনীর ১২০ তম পর্ব উদযাপন করা হল৷
সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বেদী সেবকদের তত্ত্বাবধানে গির্জা প্রাঙ্গণে অবস্থিত কালভেরি থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ভক্তগণ গির্জার মধ্যে প্রবেশ করেন।
৪ঠা জুন থেকে ধর্মপল্লীর খ্রীষ্ট ভক্তগণ প্রার্থনা, নভেনা, পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টযাগে অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করেন এবং নিজেদের প্রার্থনা ও মনস্কামনাগুলি সাধু আন্তুনির মধ্যস্থতায় যীশুর চরণে নিবেদন করেন।
“সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনী” প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০২ সালে। এই দিনটিকে অনুসরণ করে সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনীর ১২০ তম বার্ষিকী উদযাপন করা হল।
এই বছরের নভেনার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "খ্রীষ্টীয় প্রার্থনা", ঠিক যেমন আমাদের পুণ্য পিতা পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন। গত ৪ঠা জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নভেনার প্রথম দিন শুরুর পর, এই নয় দিন ব্যাপী ধ্যান, আরাধনা, প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে গির্জার মধ্যে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
পাদুয়ার সাধু আন্তুনীর এই পর্ব সাধ্বী তেরেসা গির্জার প্রত্যেকটি ধর্মপল্লীবাসীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব দিন। যা, এই ধর্মপল্লীর প্রত্যেকটি সক্রিয় সমিতিগুলিকে একত্রিত করে তোলে। তাছাড়া এই পর্ব শুধুমাত্র ধর্মপল্লীবাসীদেরই নয় বরং আশেপাশের অন্যান্য ভক্তরাও এই নভেনাতে অংশগ্রহণ করেন।
সকল ভক্তগণ সাধু আন্তুনীর প্রতি তাদের ভক্তি নিবেদন স্বরূপ রুটি অর্পণ করেন। এই দিনটি ধর্মপল্লীবাসীর কাছে শুধুমাত্র একটি উৎসবই ছিল তা নয় বরং দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে বহন করার মধ্যে দিয়ে ধর্মপল্লীর প্রতি তাদের নিষ্ঠা ও ভালোবাসারও প্রতীক ছিল।
খ্রীষ্ট যাগ শেষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জর্জ আন্তুনি সকলের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে আশীর্বাদ প্রদান করেন। সবশেষে সাধু আন্তুনির র্যালিক চুম্বনের মধ্যে দিয়ে সাধু আন্তুনির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করা হয়।
এরপর সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনীর নিবেদিত রুটি পাল পুরোহিত আশীর্বাদ করেন। সেই আশীর্বাদ করা রুটি সকল খ্রীষ্টভক্তের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং অবশিষ্ট সকল রুটি পার্শ্ববর্তী শিশুভবন এবং মাদার হাউসে দান করা হয়।
সকলের পক্ষ থেকে ধর্মপল্লীর পাল ফাদার জর্জ আন্তুনি সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জানান এবং সর্বোপরি যারা এই নবাহ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করেন তাদের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে ধন্যবাদ এবং আশীর্বাদ দান করেন। এরপর সাধু আন্তুনি প্রভাতী সম্মিলনীর সভাপতি শ্রী ইগনাসিয়াস সুভাষ গোমেসকে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এই গৌরবময় অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য। প্রতিবেদন- ডমিনিক পাঞ্জা, অনুলিখন - তেরেসা রোজারিও