ফৈলজানা ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো পঞ্চাশত্তমীর মহাপর্ব এবং জুবিলী ক্রুশের শুভ উদ্বোধন

গত ৮ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত ফৈলজানা ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো পঞ্চাশত্তমীর মহাপর্ব এবং জুবিলী ক্রুশের শুভ উদ্বোধন ও পালকীয় সম্মেলন।
পঞ্চাশত্তমীর মহাপর্বের খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও। তিনি তার উপদেশ বাণীতে বলেন, “পবিত্র আত্মা শুধু শিশুদের ওপর নয় বরং আজ আমাদের প্রত্যেকের ওপর নেমে এসেছে। পবিত্র আত্মার শক্তিতে আমরা যেন আরো দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি এবং আমাদের বাস্তব জীবনের সকল সমস্যা ও প্রলোভন থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি।”
“সেই সাথে পালকীয় কর্মশালা একটি মহতী উদ্যোগ যা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনে,” বলেন কার্ডিনাল ডি’রোজারিও।
খ্রিস্টযাগের পর কার্ডিনাল, ফাদার ও সকল খ্রিস্টভক্ত খ্রিস্ট জন্মজয়ন্তী ক্রুশ উদ্বোধন করেন।

এরপর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পালকীয় সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল প্রদ্বীপ প্রজ্বলন এবং উদ্বোধনী নৃত্য।
এতে উপস্থিত ছিলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যাঞ্চেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও, পাল পুরোহিত ফাদার হ্যামলেট ফ্রান্সিস বটলেরু সিএসসি, ফাদার লরেন্স নরেশ দাশ, সিএসসি, ডিকন নয়ন যোসেফ গমেজ, সিএসসি, রিজেন্ট জনি মুরমু, সিএসসি ও ১০৫জন খ্রিস্টভক্ত।
ফাদার প্রেমু রোজারিও খ্রিস্ট জন্মজয়ন্তী আশার তীর্থযাত্রী এই মূলসুরের আলোকে বলেন, “জুবিলী বর্ষ হল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর বর্ষ। জুবিলী বর্ষ বা পুণ্য বর্ষ আশার বাণী শোনায়। জুবিলী বর্ষ কেন পালন করা হয়? এর উত্তরে তিনি বলেন, জুবিলী বর্ষ হল পবিত্র, বিশ্রাম ও দায়মুক্তির বছর।”
পালকীয় সম্মেলনের মধ্যে আরো ছিলো ব্লকভিত্তিক দলীয় আলোচনা এবং আলোচনার পর প্রতিবেদন পেশ।
এছাড়াও পালকীয় সম্মেলনে ফাদার লরেন্স নরেশ দাস, সিএসসি জমিসংক্রান্ত আইনবিধি বিষয়ে আলোচনা করেন। পরিশেষে ধর্মপল্লীর বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। - অর্নেট ব্লেইজ পেরেরা