বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পালিত হলো বিজয় দিবস ও প্রাক-বড়দিন

ঢাকা ক্রেডিটের বি কে গুড কনফারেন্স হলে পালিত হলো বিজয় দিবস ও প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠান

গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ঢাকা ক্রেডিটের বি কে গুড কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পালিত হলো বিজয় দিবস ও প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠান।

এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ, সিএসসি এবং খ্রীষ্টান এসোসিয়েনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট মাইকেল জন গমেজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী মনীন্দ্র কুমার নাথ, ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. বিমান চন্দ্র বড়য়া, সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল।

আরও ছিলেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:, এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন প্রতাপ গমেজ, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস (কাককো) লি: এর চেয়ারম্যান টুটুল পিটার রড্রিক্স, কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেনেডিক্ট আলো ডি’ রোজারিও এবং ফাদার সৃজন এস.জে।

প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত বিশপ ও এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান থিওটোনিয়াস গমেজ তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত সকলকে আসন্ন বড়দিনের আশির্বাদপূর্ণ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, “মানব জীবন অনেক শক্তিমান। মানুষ তার নিজের থেকেই তার মনের চেয়ে উর্ধ্বে রয়েছে। মানুষের অন্তর-হৃদয়-দেহ অনেক বেশি শক্তিমান ও পবিত্র বিষয়।”

ঈশ্বর নিজে মানুষ হতে পারেন এটা কঠিন বিষয় কিন্তু অসম্ভব বিষয় হলো ঈশ্বর যদি মানুষ না হতে পারেন। ঈশ্বর তাই মানুষকে তার সাদৃশ্যে তৈরি করেছেন এবং আমাদের কাজের মধ্যেদিয়ে সেটার প্রমাণ হয়,” বলেন বিশপ থিওটোনিয়াস।

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পালিত হলো বিজয় দিবস ও প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠান

তিনি আরও বলেন, “ঈশ্বর মানুষের মধ্যে চালাফেরা করতে পারেন এবং তিনি অনেক আনন্দিত হন কারণ মানুষ তার জীবনে ঈশ্বরকে প্রতিফলন দেখাতে পারেন। তাই মানুষের জীবন ঈরের কাছেই একটা আনন্দের বিষয়।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, “এই মাসে আমাদের বিজয় এসেছে এবং এই মাসেই আমাদের যীশুখ্রীষ্টের জন্ম হয়েছে, আমরা খুব ভাগ্যবান।”

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশ দেশের ১৪৪ টি অঙ্গ সংগঠন তৈরি কয়েছে এবং অন্তত ১০টি দেশে এর শাখা আছে। আমরা খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে কাজ করছি এবং করে যাবো,” বলেন রোজারিও।

বড়দিনের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাদার সৃজন বলেন, “জীবনের অর্থ যে খুঁজে পায় না, তার বড়দিন পালনের কোনো অর্থ হয়না।”

ঈশ্বর এই পৃথিবীতে মানুষ রুপে এসেছেন ভালোবেসে, তাই আমাদের সম্পর্ক হওয়া উচিত ভালোবাসার। মহত্ম আসে নম্রতা ও ভালোবাসায়। ক্ষমতা ও অবস্থানে নয়,” বলেন ফাদার সৃজন।

ড. আলো ডি’ রোজারিও বলেন, “বড়দিনে আমরা বড় হতে পারবো যদি আমরা প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা চিন্তা করতে পারি, তাদের অন্ত:র্ভুক্ত করতে পারি।”

অনুষ্ঠানে বড়দিন ও বিজয়ের গান, বড়দিনের কেক কাটা ও বড়দিনের কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরিশেষে বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ’র  আশির্বাদ ও শেষ প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। - ডিসিনিউজ