সেন্ট লরেন্স হাই স্কুলের প্রাক্তন বোডার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কেরিয়ার কাউন্সিলের আয়োজন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সেন্ট লরেন্স হাই স্কুলের প্রাক্তন বোডার্সদের অ্যাসোসিয়েশন (স্লোবান) কলকাতার সেন্ট তেরেজা ধর্মপল্লীতে ৮-১২ ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত একটি ক্যারিয়ার গাইডেন্স অনুষ্ঠান করে। এই অনুষ্ঠানটির সার্থক আয়োজনে সেন্ট তেরেজার পল্লীপুরোহিত ফাদার ব্যাসিল মান্ডি এবং ফাদার নবীন তাউরো প্রভুত সহায়তা করেন।
উক্ত এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ছিলেন:
(১) পল্লীপুরোহিত ফাদার বাসিল মান্ডি(আইনজ্ঞ), (২) লুক জন গোমস্ (নেসলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর), (৩) অ্যালেন লরেন্স (পার্টনার এবং ডিরেক্টর - জেপিএনআর কর্পোরেট কনসালট্যান্টস গ্রুপ), (৪) জন শোভন গোমস্ (বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ), (৫) জ্যাকব ভানু মুর্মু (ব্যাঙ্কিং), (৬) ডায়ানা রদ্রিকজ্ (ফ্যাশন ডিজাইন) এবং (৭) তানিয়া ভোরা (গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন)। ফাদার নবীন তাউরো একটি আন্তরিক প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এঁদের বক্তব্যের মূল বিষয়গুলি ছিল:
১. আমাদের সকলকে জীবনে উন্নতি করার জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে লেগে থাকতে হবে।
২. নিজেদের ‘কেন’ প্রশ্নটি সবসময় করতে হবে, আমাদের স্বপ্ন সবসময় বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং আমাদের প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
৩. চাকরি এবং ক্যারিয়ার দু’টো আলাদা জিনিস। রিটারমেন্ট হওয়ার পরে চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে যায়, কিন্তু ক্যারিয়ার যেমন একজন ডাক্তার, উকিল, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, সঙ্গীতজ্ঞের পেশা আমৃত্যু চালু থাকে।
৪. জীবনে উন্নতির জন্য কোনও বাঁধাধরা গৎ বা ক্যারিয়ার নেই। সম্পূর্ণটাই একজনের প্রতিভা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে।
ফাদার তিমির সিংহ এসজে (প্রাক্তন লরেন্সিয়ান) এবং ফাদার জোসেফ সি. ডিসুজাও অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণ উপস্থিত ছিলেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল মোরাপাই প্যারিশ থেকে কলেজপড়ুয়া সহ ১৩ জন শিক্ষার্থী। এটা সম্ভব হয়েছিল মোড়াপাইয়ের নতুন পল্লীপুরোহিত ফাদার হিমাংশু পতির দূরদর্শিতার জন্যই, যা বেশিরভাগ প্যারিশের পল্লীপুরোহিতদের মধ্যে দেখা যায় না!
পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু বৃত্তিগুলির উপর একটি সংক্ষিপ্ত পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্কলারশিপের নামও জানানো হয়। আমাদের খ্রীষ্টান শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা/পেশাগত কোর্সের খরচ যথাসম্ভব তোলার জন্য সমস্ত সরকারি বৃত্তির জন্য বিপুল সংখ্যক আবেদন করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকল্পে স্কলারশিপের আবেদনের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আবেদনের লিঙ্কটি হলো https://wbmdfcscholarship.in/
স্লোবান ঠিক করেছে এখন তার সদস্যরা কলকাতা ছাড়াও গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় উন্নতির সাহায্যকল্পে মনোনিবেশ করবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি জোয়াকিম ক্যাম্পু দুর্দান্ত পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালনা করেন।
আইজাক হ্যারল্ড গোমস্