বাণীদীপ্তির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বশান্তি কামনায় জপমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠান

দি মেট্রোপলিটন খ্রিস্টান হাউজিং সোসাইটির মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বশান্তি কামনায় জপমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠান

গত ১৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকার মণিপুরীপাড়ায় দি মেট্রোপলিটন খ্রিস্টান হাউজিং সোসাইটির মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বশান্তি কামনায় জপমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠান।

বাণীদীপ্তির সার্বিক তত্ত্বাবধানে হাউজিং সোসাইটি, মণিপুরীপাড়া খ্রিস্টান সমাজ, ভোরের সূর্য সংগঠন এবং সিগনিস বাংলাদেশের আয়োজনে এই বিশেষ প্রার্থনা  অনুষ্ঠিত হয়। এক ঘন্টা ব্যাপী এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত এই প্রার্থনার পূর্বে খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বুলবুল আগষ্টিন রিবেরু বলেন, “শান্তিতে থাকা সকল মানুষের কাছেই কাঙ্খিত একটি অবস্থা। যিশু নিজেও আমাদের বলেছেন, “তোমাদের শান্তি হোক যিশুর দেওয়া সেই শান্তি জগতের সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক এবং শান্তিময় সমাজ গড়ে উঠুক তা আমাদের প্রত্যাশা।

 “বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রে আমরা দেখি যে  চারিপাশে অশান্তি যেন লেগেই আছে। দৃশ্যমান কিছু অশান্তময় পরিস্থিতি হয়েছে মিয়ানমার, রাশিয়া- ইউক্রেন, ইস্রায়েল- প্যালেস্টাইন, মধ্যপ্রাচ্যর আফ্রিকার কিছু দেশে। এসব অশান্তির নেপথ্যে কাজ করে আমাদের অহংকার, হিংসা- দ্বেষ, স্বার্থ চরিতার্থ করা নিজেকে জাহির করা,” বলেন ফাদার রিবেরু।

বাণীদীপ্তির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বশান্তি কামনায় জপমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠান

তিনি আরো বলেন, “শান্তির জন্য আমাদের সকলকেই প্রার্থনা করতে হয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেককে জড়িত করার ইচ্ছা রাখতে হয়। তাই আমাদের ঐতিহ্যবাহী আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ প্রক্রিয়া অর্থাৎ একত্রিত হয়ে রোজারিমালা প্রার্থনা এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে শান্তির কথা তুলে ধরতে পারি।

উক্ত এই প্রার্থনা পরিচালনায় ছিলেন মিস্টার চয়ন রিবেরু এবং সিস্টার লাইলী রোজারিও আরএনডিএম এবং গান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মণিপুরীপাড়ার খ্রিস্টান সমাজ।

প্রতিটি নিগুঢ়তত্ত্বের পরে বিভিন্ন দেশ, সমাজ নিজেদের মধ্যে শান্তি আনয়নের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্য প্রার্থনা করা হয়।

এছাড়া সমাপনী প্রার্থনা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মিস্টার প্রতাপ আগষ্টিন রোজারিও। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার গুলোই আমাদের শান্তির প্রানকেন্দ্র। পরিবারে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ভালোবাসায় একত্রে বসবাস করলেই শান্তি বিদ্যমান থাকে।

তিনি আরো বলেন, “আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঈশ্বরের নাম স্মরণ করি যেন সারা দিন তিনি আমাকে সুস্থ এবং নিরাপদে রাখেন।

রোজারিমালা প্রার্থনার ইতিহাস মধ্যযুগে শুরু হয়, যা ল্যাটিন শব্দ 'rosarium' থেকে এসেছে এবং এর অর্থ 'গোলাপের মুকুট' এটি মূলত কুমারী  মারীয়ার জীবন এবং যীশুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর ওপর ধ্যান করার একটি পদ্ধতি, যা জপমালার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।  এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কুমারী মারীয়ার প্রতি সম্মান ভক্তি প্রদর্শন করা।

পরিশেষে তিনি হাউজিং মিলনায়তনে প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করা জন্য বাণীদীপ্তি এবং সহযোগিসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার মধ্য দিয়ে রোজারিমালা প্রার্থনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। - আরভিএ সংবাদ