পান্ডুয়ার যীশু আশ্রম গির্জাতে যুব দিবস উদযাপন
বিগত ২৪শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ হুগলি জেলার অন্তর্গত পান্ডুয়া ব্লকে অবস্থিত যীশু আশ্রম গির্জায় উদযাপিত হল ধর্মপল্লীর যুবক-যুবতীদের জন্য এক দিবসীয় যুব দিবস অনুষ্ঠান।
উক্ত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ফাদার রাকেশ মন্ডল এস.জে.।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সকল যুবক যুবতীর নাম নথিভুক্ত করা হয় এবং বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
এরপর ফাদার রাকেশ বিভিন্ন উপমা কাহিনীর মধ্যে দিয়ে তাদের অনুপ্রাণিত ক’রে বলেন যে “আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে মিলিত হই তবে তাদের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র কয়েকজনই আমাদের সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে তাই, আমাদের জীবনে সেই সঠিক মানুষগুলিকে চিহ্নিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।“
এরপর যুবক যুবতীদের চারটি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ মূলক অ্যাক্টিভিটিস করানো হয় এবং তাদের জিজ্ঞেসা করা হয় যে তারা পরবর্তীতে তাদের ধর্মপল্লীর জন্য কি ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে চান। এক একটি দল এক একটি মত পোষণ করে যেমন একটি দল বলে তারা তাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য সেই অঞ্চলের বিশেষ ধরনের খাবারের প্রদর্শনী করতে চায়। আরেকটি দল বলে তারা বয়স্ক লোকেদের জন্য বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে চায়। পরবর্তী দল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এরপর পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার অরুণ লুকাস এস.জে. এবং সহভাগীতা করেন ফাদার রাকেশ মন্ডল এস.জে. এবং ফাদার ফেলিক্স টেটে এস.জে.।
ফাদার অরুণ লুকাস আগত যুবক-যুবতীদের উদ্দেশ্যে উপদেশে তাঁর নিজের জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন “আমাদের জীবনপথ যতই কঠিন হোক না কেন আমাদের লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তবে নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যে দিয়েও আমরা অবশ্যই আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। “
মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর যুবক যুবতীদের বিভিন্ন ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন ডটার্স অফ দ্য ক্রস
সমাজের সিস্টারগণ। এই পর্বের মূল উদ্দেশ্য ছিল যেন যুবক-যুবতীরা তাদের পড়াশুনোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।
সবশেষে তাদের যীশু সংঘ সমাজ দ্বারা পরিচালিত মাজিস ডিজিটাল হোম অ্যাপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। যেখানে তাদের দেখানো হয় যে কিভাবে তারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে তাদের প্রতিভা সারা বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দিতে পারবে। অন্যদিকে যে বিষয়গুলি সম্পর্কে তারা অবগত নন সেই বিষয়গুলি তারা অন্যদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার সুযোগ পাবে এই অ্যাপটির মাধ্যমে।
সবশেষে ফাদার রাকেশ যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে পরবর্তী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে বড়দিনের প্রস্তুতি স্বরূপ তারা অর্ধ দিবসের জন্য একটি অনুধ্যান প্রার্থনার আয়োজন করবে।
অনুষ্ঠান শেষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার সালভাদর মুর্মু এস.জে. কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সাফল্যমন্ডিত করার সুযোগ করে দেবার জন্য এবং সকলকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
প্রতিবেদন তেরেসা রোজারিও