পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো তেলেগু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের জন্য আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সভা

লক্ষ্মীবাজার ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো তেলেগু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের জন্য আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সভা

গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দলক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো তেলেগু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের জন্য আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি  সভা।

এই আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সভায় সহভাগিতা করেন ফাদার এলিয়াস পালমা, সিএসসি। তিনি তার সহভাগিতায় বলেন, “খ্রীষ্টমণ্ডলীর দিনপুঞ্জীকা শুরু হয় আগমনকাল দিয়ে আর এই আগমনকাল হচ্ছে প্রস্তুতির সময়। সময় আমরা স্মরণ করি তিন ধরণের আগমনের কথা।

প্রথমত, ঈশ্বরপুত্র যীশু খ্রীষ্ট মানুষ হয়ে জন্মেছিলেন বেথলেহেমের গোয়াল ঘরে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সময়ে খ্রীষ্ট আগমন করতে চান আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে, যার জন্য আমরা হৃদয়-মন প্রস্তুত করছি আর তৃতীয়ত, জগতের শেষ দিনে খ্রীষ্ট পুনঃআগমন করবেন সকলের বিচার করতে,” বলেন ফাদার পালমা। 

খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে ফাদার বলেন, “এই আগমনকালে আমরা মানব জাতির মুক্তিদাতা খ্রীষ্টের জন্মোৎসব পালন করার জন্য নিজেদের যথাযোগ্যভাবে প্রস্তুত করি। এই প্রস্তুতির কালেই কিন্তু আমাদের মুক্তির দিন আসন্ন।

এই পৃথিবীকে খ্রীষ্টের শান্তি, ন্যায্যতা প্রেমের উপর গড়ে তুলতে হলে প্রতিদিনই ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে আমাদের জীবন-যাপন করা উচিৎ। কিন্তু বাস্তবে আমরা তা অনেক সময় করি না বা তা করতে অবহেলা করি। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ঈশ্বরকে পথ করে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করা,” বলেন ফাদার পালমা।

তেলেগু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের জন্য আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সভা

পবিত্র খ্রিস্টযাগের পরে সকলে মিলে কীর্তন নাচ-গান করে খ্রীষ্টের জন্মতিথীর আনন্দ সহভাগিতা করেন।

একজন অংশগ্রহনকারী বলেন, “সত্যিই দিনটি লক্ষ্মীবাজার ধর্মপল্লীর তেলেগু সম্প্রদায়ের খ্রীষ্টভক্তদের বড়দিনের জন্য আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করে তুলেছে তাই ফাদারদের ধন্যবাদ জানাই।

এই অর্ধবেলা আগমনকালীন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি সভার মধ্যে ছিল অনুধ্যান সহভাগিতা, পুনর্মিলন সংস্কার গ্রহন পবিত্র খ্রিস্টযাগ। - আরভিএ সংবাদ