পোপ ফ্রান্সিস ক্যাথলিক চার্চের ঐতিহ্য উল্লেখ করে এ বছরকে “জুবিলিবর্ষ” ঘোষণা করেছেন
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, পোপ ফ্রান্সিস রোম নগরীতে অবস্থিত সাধু পিতর মহামন্দিরের পুণ্যদ্বার (পুণ্য দরজা) খুলে দিয়ে জুবিলিবর্ষ ঘোষণা করেন।
এ জুবিলিবর্ষের মূলসুর হলো, “আশার তীর্থযাত্রা” । পোপ ফ্রান্সিস ক্যাথলিক চার্চের ঐতিহ্য উল্লেখ করে ২০২৫ খ্রিস্টবর্ষকে “জুবিলিবর্ষ” ঘোষণা করেছেন।
খ্রিস্টজন্মের ২০২৫ বছরের জয়ন্তীকে সামনে রেখে এ জুবিলিবর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ২৫ বছর পর পর জুবিলিবর্ষ ঘোষণা করা হয়।
পুণ্যদ্বার হলো মহামন্দিরের চারটি প্রধান দরজার একটি- যেটি শুধুমাত্র জুবিলিবর্ষে খুলে দেওয়া হয়। পোপ ৮ম বনিফাস ত্রয়োদশ খ্রিস্টাব্দে এ ঐতিহ্য স্থাপন করেছেন যেটাকে বলা হয় আধ্যাত্মিক যাত্রা।
এ বছর জুবিলিবর্ষের আধ্যাত্মিক যাত্রায় জোর দেওয়া হয়েছে “আধ্যাত্মিক নবীকরণ এবং ক্ষমাদান।”
এবারের জুবিলিবর্ষে আধ্যাত্মিক যাত্রার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ভাটিকানের ঐতিহাসিক মাইলফলক যুক্ত করে খ্রিস্টানদের আহ্বান করা হয়েছে “ভ্রাতৃত্ব ও আশা” নিয়ে একতাকে আলীঙ্গণ করে যাত্রা।
এ তীর্থযাত্রার প্রবেশতোরণ হবে সাধু পিতর মহামন্দিরের পুণ্যদ্বার। পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের খ্রিস্টভক্তদের আহ্বান জানিয়ে বলছেন তারা যেনো এ জুবিলিবর্ষের আধ্যাত্মিক নবীকরণ, ভ্রাতৃত্ব ও আশা এবং তাদের একত্রে যাত্রা যেন গোটা মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। - ফাদার সুনীল রোজারিও