ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের পালকীয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপ্রদেশীয় যাজকদের প্রথম দলের বার্ষিক নির্জনধ্যান

অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপ্রদেশীয় যাজকদের প্রথম দলের বার্ষিক নির্জনধ্যান

গত ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের পালকীয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ধর্মপ্রদেশীয় যাজক ভ্রাতৃসংঘের প্রথম দলের বার্ষিক নির্জনধ্যান।

এবারের যাজক ভ্রাতৃসংঘের বার্ষিক  নির্জনধ্যানের মূলসুর ছিল, “যীশুর পথে, মা মারীয়ার সাথে যাজক এতে বিশপগণ এবং যাজকগণ মিলে প্রায় ৯৬জন অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ধর্মপ্রদেশীয় যাজক ভ্রাতৃসংঘের সভাপতি ফাদার মিন্টু লরেন্স পালমা তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, “নির্জনধ্যান হলো নীরবতায়, প্রার্থনায় ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকা।

তিনি আরও বলেন,  “আমরা যাজকগণ বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬০ দিনই ভক্তজনদের জন্য ব্যয় করি। আর এই ৫টি দিন আমরা নিজেদের জন্য ব্যয় করবো। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য ভক্তজনদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করবো।

বার্ষিক এই নির্জনধ্যান পরিচালনা করেন ফাদার মার্কুস মুর্মু। তিনি সহভাগিতা করেনমণ্ডলীতে যাজকত্ব এবং যাজকীয় সেবাকর্ম বা প্রৈরিতিক সেবাকাজসর্ম্পকে।

পুরোহিতগণ খ্রীষ্টের প্রতিনিধি এবং তারা ত্রি-মুখী পুণ্য দায়িত্ব পালন করেন তা হলো; প্রাবক্তিক বা বাণী প্রচারের কাজ বা দায়িত্ব, যাজকীয় বা পবিত্রীকরণের কাজ বা দায়িত্ব, এবং রাজকীয় বা পরিচালনার কাজ বা দায়িত্বে বিশপদের সহযোগী যা স্বভাবতঃ মণ্ডণীর প্রেরণকার্যের অঙ্গীভূত,” বলেন ফাদার মুর্মু।

বার্ষিক নির্জনধ্যানে অংশগ্রহণকারী বিশপ ও যাজকগণ

ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুজ বলেন, “আর্চবিশপ ভবনে সবাইকে স্বাগতম জানাই। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের ধর্মপ্রদেশীয় যাজকদের বার্ষিক নির্জন ধ্যানের জন্য ঢাকার আর্চবিশপ ভবনকে বেছে নেবার জন্যে।

নির্জনধ্যান হল কৃপা বা অনুগ্রহ লাভের সময়। তাই আমরা যেন সেই অনুগ্রহ লাভের জন্য উন্মুক্ত থাকি,” বলেন আর্চবিশপ ডিক্রুজ।

বার্ষিক এই নির্জনধ্যানে অংশগ্রহণকারী ফাদার গর্ডন ডায়েস বলেন, “আমি বিশ্বাস করি স্বয়ং পবিত্র আত্মাই এই নির্জনধ্যান পরিচালনা করেছেন আর ফাদার মার্কুস ছিলেন আমাদের মধ্যে একজন মাধ্যম।

এই ধ্যানের মধ্য দিয়ে আমি যে আধ্যাত্নিক চেতনা পেয়েছি তাঁর জন্য ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ জানাই, বলেন ফাদার ডায়েস।

নির্জনধ্যানে অংশগ্রহণকারী আরেকজন ফাদার বলেন, “ বার্ষিক এই নির্জনধ্যান আমাকে আধ্যাত্নিক প্রেরণা যুগিয়েছে বিশেষ করে যীশুর সাথে পথ চলতে, যীশুর সাথে থাককে এবং প্রার্থনায় সময় কাটাতে।

এই নির্জনধ্যান আমার যাজকীয় জীবনে পালকীয় কাজের সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি,” বলেন ফাদার।

পরিশেষে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রদেশীয় যাজক ভ্রাতৃসংঘের প্রথম দলের বার্ষিক নির্জনধ্যান শেষ করা হয়। - আরভিএ সংবাদ