বনপাড়া সেন্ট যোফেসস স্কুল অ্যান্ড কলেজে উদযাপিত হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস

বনপাড়া সেন্ট যোফেসস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রীণ ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস

গত ৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  নাটোর উপজেলার বনপাড়া সেন্ট যোফেসস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রীণ ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস।

এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূলসুর ছিল, “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা”। এই দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এই বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ,  ক্লাবের মডারেটর সহকারী অধ্যাপক মোঃ আসাদুজ্জামান ও প্রভাষক রাকিবুল ইসলাম সহ অন্যান্য প্রভাষকগণ। 

অধ্যক্ষ ড. ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ তার বক্তব্যে বিশ্ববাসীকে অনুরোধ করে বলেন, “পৃথিবীর যে জলবায়ুর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে,  সে জলবায়ুকে রক্ষা করার লক্ষ্যে আমরা যেন সবাই গাছ লাগাই। আমরা প্রতি বছর লক্ষ্য কোটি বৃক্ষ্য নিধন করছি। সবুজময় এই পৃথিবীকে আমরা ধ্বংস করি। ধরিত্রী আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে আমরা যেন তার যত্ন নেই।”

“এই গ্রীণ ক্লাবের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সর্ম্পকে সচেতন করে তুলতে পারি। বৃক্ষরোপনের মধ্যদিয়ে আমরা যেন বাংলাদেশকে সবুজে সবুজায়ন করতে পারি। এর মধ্যদিয়ে আমরা যেন বুক ভরে নির্মল শ্বাস গ্রহণ করতে পারি সেটাই আমাদের কর্মপ্রয়াস”, বলেন অধ্যক্ষ ড. ফাদার শংকর।   

সবর্ত্র যদি এই ধরনের “গ্রীণ ক্লাব” গড়ে উঠে তবে আমাদের দেশ হবে সুন্দর এবং সুজলা সুফলা বলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে স্কুল এবং কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষ রোপণ

এই দিবসবক কেন্দ্র করে বিশাল এক র‌্যালির  আয়োজন  করা হয়। এই র‌্যালি স্কুল প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে বনপাড়া বাজার পযর্ন্ত প্রদক্ষিণ করা হয়। পরর্বতীতে কলেজর কর্তৃপক্ষ স্কুল এবং কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে।

একইসাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করা হবে। এছাড়া এবছর বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তখন সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়। পরে ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।

এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিবছর দিবসটি সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে। - আরভিএ সংবাদ