গত ১০ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে যুবক যাজকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ সেমিনার।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যাজক ও ব্রতধারী-ধারিণীদের জন্য কমিশনের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে নবাভিষিক্ত যাজক থেকে শুরু করে দশ বছর চলছে এমন ১২জন যাজক উপস্থিত ছিলেন।
এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার মাইকেল কোড়াইয়া ও সেক্রেটারি ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার উইলিয়াম মুর্মু।
এ সেমিনারের মূলসুর ছিল, “যাজকীয় জীবনে পালকীয় কাজের আনন্দ”। পবিত্র সাক্রামেন্তীয় আরাধনার মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয় এবং এখানে যাজকগণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন।
সেমিনারের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে ফাদার মাইকেল কোড়াইয়া বলেন, “রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যাজক ও ব্রতধারী-ধারিণীদের জন্য কমিশন যুবক যাজকদের বিষয়ে চিন্তা করে। আর এই চিন্তা বিশপের চিন্তারই ফসল। যুবক যাজকগণ অনেক সময় তাদের জীবনাভিজ্ঞতা বলার কাউকে খুঁজে পায় না। আর এই ফোরাম সেই সুযোগ করে দেয়।”
ফাদার উত্তম রোজারিও বলেন, “যুবক যাজকরা ধর্মপল্লীর প্রাণ। তারা যদি প্রাণবন্ত হয় তাহলে ধর্মপল্লী উদ্জীবিত থাকে। ধর্মপল্লীতে অনেক ধরণের আনন্দের অভিজ্ঞতা হয়।”
ফাদার আরো বলেন, “তেমনি এমন কিছু কষ্ট ও বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হতে হয় যা যাজকীয় জীবনকে অনেক সময় বিষিয়ে তুলে। আর এই ধরণের পরিস্থিতিতে অনেকের নিশ্চুপ পশ্চাৎপদতা আরো বেদনার হয়ে উঠে। তাই যুবক যাজকদের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন প্রয়োজন।”
ফাদার উইলিয়াম মুর্মু বলেন, “যুবক যাজক ছাড়া ধর্মপ্রদেশের কোন কাজ এগিয়ে যেতে পারবে না। আর আমাদের বিশপ ও যাজকগণ যুবক যাজকদের যত্নের বিষয়ে বেশ সচেতন।”
“শুধু আমাদের ধর্মপ্রদেশ নয় বরং বিশ্বমণ্ডলী যুবক যাজকদের যত্নের বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করে থাকেন। আমাদের ধর্মপ্রদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি যুবক যাজকগণ রয়েছেন। আর এটি একটি শুভলক্ষ্মণ,” বলেন ফাদার মুর্মু।
তিনি যাজকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, “যুবক যাজকদের নিজেদের বিষয়ে আরো সচেতন ও যত্নশীল হতে হবে। বিশেষ করে আধ্যাত্মিক, শারীরিক ও মানসিক যত্নের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। - ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন
