কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের নতুন ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেন ড. আরোক টপ্য

কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের নতুন ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য

গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের নতুন ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেন . আরোক টপ্য।

কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক অফিসের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও। সভাপতিত্ব করেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিন রোজারিও।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী আঞ্চলিক পরিচালক ডেভিড হেম্ব্রম, নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত পরিচালক . আরোক টপ্য, পরিচালক, অর্থ প্রশাসক রেমি সুবাস দাস, ফাদার, সিস্টার এবং কারিতাস পরিবারের কর্মকর্তাগণ।

বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, “আমাদের রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের জন্য ডেভিড হেম্ব্রোম আশির্বাদ ছিলেন। তিনি কারিতাসের হয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছেন। আমাদের সকলের পক্ষ থেকে উনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

বিশপ রোজারিও আরো বলেন, “অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে . আরোক টপ্যকে পেয়েছি। উনার প্রতি শুভেচ্ছা। আমরা তার নিকট থেকে কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের উন্নতি কামনা করি বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের উন্নতিকল্পে প্রকল্প তৈরি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানাই

বিদায়ী আঞ্চলিক পরিচালক ডেভিড হেম্ব্রোম তার বক্তব্যে বলেন, “আমি বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সন্মিলনীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার অযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে গুরু দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। আমি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম। এই মূহুর্তে আমার সকল সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই।

নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত পরিচালক . আরোক টপ্য অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “বিশপ মহোদয়কে অশেষ ধন্যবাদ। তিনি আমাকে কারিতাসের জন্য বেছে নিয়েছেন। আমি আমার সর্বাত্ম দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এছাড়াও আমার সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করি।

আরোক টপ্যের জন্ম সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টা গ্রামের এক উঁরাও আদিবাসী পরিবারে। পিতার নাম বাবুলাল টপ্য মাতার নাম ছবি রানী এক্কা।

তিনি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে  কারিতাস দিনাজপুর অঞ্চলে কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের মাঝেই ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে . আরোক টপ্য কারিতাস বাংলাদেশের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন পরিবেশ নীতিমালা প্রস্তুতিতে অসামান্য অবদান রাখেন। এছাড়াও সংস্থার পক্ষে তিনি বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক ফোরাম নেটওয়ার্ক, যেমন- বাংলাদেশ এগ্রো ইকোলজি প্ল্যাটফর্ম, ফেয়ার ইকোলজি ট্রানজিশন প্রভৃতিতে যুক্ত আছেন।

এছাড়াও তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি প্রতিবেশ, দূর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কার্যক্রম জরুরি সাড়াদান কর্মসূচি বিষয়েও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।শর্মী কস্তা