“নিকোডেমাস যীশুর সাথে সাক্ষাতের মধ্যে আশার আলো খুঁজে পেয়েছিলেন” বলেন পোপ ফ্রান্সিস

পোপ ফ্রান্সিস তাঁর উপদেশে মঙ্গলসমাচারের উপর ভিত্তি করে যীশুর সাথে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাতের মুহূর্তকে আমাদের জীবনে আশার এক বিশেষ দিক বলে ব্যক্ত করেন।
এমন কয়েকটি বিশেষ সাক্ষাৎ আমরা মঙ্গল সমাচারে লক্ষ্য করি যা, আমাদের জীবন পথ আলোকিত করে এবং আশার পথ দেখায়।
তিনি আরও বলেন নিকোডেমাসের সাথে যীশুর সাক্ষাৎ আমাদের শেখায় যে, অন্ধকার থেকেও বেরিয়ে এসে খ্রীষ্টকে অনুসরণ করার সাহস খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
যীশু আমাদের হৃদয়ের সব অন্ধকারকে দূরীভূত ক’রে আমাদের জীবন পথ আলোকিত করেন
সাধু যোহন রচিত মঙ্গল সমাচারে আমরা দেখি যে ফরিসী এবং ইহুদীদের জননেতা নিকডেমাস সেই রাতে প্রথম যীশুর কাছে আসে এবং ক্রুশবিদ্ধ যীশু মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দানের জন্য পিলাতের কাছে আবেদন করেন।
পোপ ফ্রান্সিস ব্যাখ্যা করেন যে এই রাত সম্ভবত তার হৃদয়ের সেই তমসাচ্ছন্ন অবস্থার প্রতীক স্বরূপ। তিনি বলেন তুমি যদি সত্যিই অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত থাকো তাহলে তুমি আলোর সন্ধান করো
নিকোডেমাস যীশুকে খুঁজেছিলেন কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে একমাত্র তিনি তার হৃদয়ের সব অন্ধকারকে আলোকিত করতে পারেন।
পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস তাঁর উপদেশে আরও বলেন নিকোডেমাস আমাদের শেখায় যে আমাদের জীবনে পরিবর্তন আসা সম্ভব। যদিও আমরা মাঝে মাঝে পরিবর্তনকে ভয় পাই তবে পবিত্র আত্মা আমাদের ভয়ের মুখোমুখি হতে সাহায্য করেন।
আমরা প্রত্যেকেই নিকোডেমাসের মতই! আমরাও কি ক্রুশবিদ্ধ যীশুর দিকে তাকাতে পারি! সেই যীশু যিনি আমাদের সমস্ত ভয়কে জয় করেছেন, যিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন আসুন আমরা আমাদের দৃষ্টি সেই ক্রুশবিদ্ধ যীশুর দিকে নিবদ্ধ করি। সেই ক্রুশ বিদ্ধ যীশুর মধ্যে আমরা আমাদের জীবনে পরিবর্তনের মুখোমুখি হবার এবং নতুন ক’রে জন্ম নেবার আশা খুঁজে পাই।
প্রতিবেদন ভ্যাটিকেন নিউজ সৌজন্য
অনুলিখন তেরেজা রোজারিও