রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে উদযাপিত হলো ওয়াইসিএস দিবস

গত ৩ থেকে ৭ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত নিত্য সাহায্যকারিণী মা মারীয়া ধর্মপল্লী আন্ধারকোঠাতে অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএস দিবস।
এ বছরে দিবসটির মূলসুর ছিল, “হৃদয়ে নতুন চেতনা এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়াইসিএস এর ধারণা গ্রহণ করি”। এতে ধর্মপল্লীর ফাদার, সিস্টার ও যুব কমিশনের ভলেন্টিয়ার এনিমেটরসহ বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে মোট ১৫৮ জন ওয়াইসিএস এর বন্ধুরা অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রেজিস্ট্রেশন ও পবিত্র খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার উইলিয়াম মুর্মূ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের চেন্সেলন ফাদার প্রেমু তার্সিসিউস রোজারিও, যুব কমিশনের যুব সমন্বয়কারী ফাদার শ্যামল জেমস্ গমেজ, ফাদার ডেভিড পিটার পালমা, ডিকন সনেট কস্তা।
খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে ফাদার উইলিয়াম মূর্মূ বলেন, “যুবক যুবতীরা হলো মণ্ডলীর ভবিষ্যৎ; আর এদের গঠন দানের জন্য শিশুকাল থেকেই বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, ওয়াইসিএস হচ্ছে সেটারই একটি উদাহারণ। অর্থাৎ যখন তোমরা মণ্ডলীর হাল ধরবে তখনও যেন আমাদের খ্রিস্টমণ্ডলী প্রাণবন্ত এবং শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এটাই আমাদের প্রয়াশ।”

এ মহতি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফাদার প্রেমু রোজারিও বলেন, “তোমরা অনেক ভাগ্যবান এবং ভাগ্যবতী যে আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে এ ধরণের আয়োজনে অংশগ্রহন করতে পেরেছ; এর কারণ হচ্ছে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী এবং রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মাতৃ ধর্মপল্লী হিসেবেও বিবেচিত হয়। তাই তোমরা এখানে এসেছো তাই আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত।”
ওয়াইসিএস দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নেওয়া হয়; এগুলো হলো বর্ণঢ্য র্যালি, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, যুব কমিশনের পতাকা এবং রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএস এর পতাকা উত্তোলন, লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে দিনটির শুভ সুচনা করা হয়।
এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক সহভাগিতায় আরো ছিল, ওয়াইসিএস কি, কেন এবং কিভাবে এর শুরু হয় সে সম্পর্কিত আলোচনা, ওয়াইসিএস এর থিম সং এর উপর ধর্মপল্লীভিত্তিক একশন প্রতিযোগীতা, সেল মিটিং এবং ধর্মপল্লীতে ফিরে কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহন, বাইবেলীয় ঘটনার আলোকে দলীয় নাটক প্রতিযোগীতা ইত্যাদি।
ওয়াইসিএস দিবসের শেষের দিন খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার প্রেমু টি রোজারিও। তিনি তাঁর উপদেশ বাণীতে বলেন,“আমাদের ধর্মপ্রদেশের প্রত্যকটি ধর্মপল্লীকে ওয়াইসিএস মুভমেন্ট আরও সক্রিয় ও প্রাণবন্ত করে তুলতে আমাদের পাশাপাশি প্রত্যক ওয়াইসিএস সদস্য-সদস্যার দায়িত্ব রয়েছে।”
তিনি প্রত্যেককে লক্ষ করে বলেন, “একে অপরকে সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে সবার মাঝে ওয়াইসিএস এর চেতনা ও অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিতে পারলেই আমাদের এ মুভমেন্টকে আরও প্রাণবন্ত করা সম্ভব; আমি আশা করি তোমরা তা অবশ্যই পারবে।”
অংশগ্রহণকারী দুর্জয় মিঞ্জ বলেন, “আমি এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে সত্যিকার অর্থে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যা ভবিষৎতে আমার জীবন গঠনে আমার কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি। - বেনেডিক্ট তুয়ার বিশ্বাস।