খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে সেবারত সিস্টারদের সেমিনার

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যাজকীয় ও ব্রতধারী/ব্রতধারিনীদের জন্য কমিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে সেবারত সিস্টারদের সেমিনার।

গত ১৬ থেকে ১৮ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যাজকীয় ও ব্রতধারী/ব্রতধারিনীদের জন্য কমিশনের উদ্যোগে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে সেবারত সিস্টারদের সেমিনার।

এই সেমিনার মূলসুর ছিল ‘‘Synodality in Community Life’’। এতে প্রায় ৪০ জন সিস্টার অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল পবিত্র আরাধনা, অতিথিদের আসন গ্রহণ, গানসহ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, উদ্বোধনী নৃত্যসহ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন।

অন্যদিকে উক্ত কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার মাইকেল কোড়াইয়ার স্বাগত-শুভেচ্ছা বক্তব্য, খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রের পরিচালক ফাদার বাবলু কোড়াইয়ার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য, সিস্টার যাচিন্তা ডি’ ক্রুশ, এসসির স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক পরিচিতি পর্বের মধ্যে দিয়ে সেমিনারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

পবিত্র খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জের্ভাস রোজারিও। তিনি সংঘবদ্ধ জীবনের মিলনের কয়েকটি দিক তুলে ধরেন। তিনি সকলকে স্বার্থপরতার উর্ধ্বে উঠে সেবাকাজ করার নিদের্শনা দান করেন এবং ক্ষমা আদান-প্রদানের সংস্কৃতি চর্চা করে, সহভাগিতা-সহযোগিতা-সহমর্মিতা বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দান করেন।

মূলভাবের উপর সহভাগিতায় সিস্টার মেরী এসএমআরএ বলেন,  “সংঘবদ্ধ জীবনের প্রেরণা হলো আদিমণ্ডলির খ্রিস্টভক্তদের সংঘবদ্ধ জীবন, একমন-একপ্রাণ-একচিত্ত-মিলেমিশে জীবন যাপন করাই হলো সংঘবদ্ধ জীবন। একে অপরের প্রতি যত্ন শীল হওয়াই হলো সংঘবদ্ধ জীবন।”

তিনি আরো বলেন,  “সিনোডাল সংঘ হওয়ার জন্য দরকার-অন্যের কথা শোনা, অন্যকে কথা বলার সুযোগ দেয়া, অন্যকে মর্যাদা দেয়া, সংলাপ করা এবং জীবন সাক্ষ্য দেয়া।” - ফাদার স্বপন পিউরীফিকেশন