রাঘবপুর সাধু যোসেফ ক্যাথলিক গীর্জায় একমাসব্যাপী মা মারীয়ার আরাধনা প্রার্থনা

গত পহেলা মে রাঘবপুর সাধু যোসেফ ক্যাথলিক গীর্জায় একমাসব্যাপী মা মারীয়ার গ্রোটোর সামনে বিশেষ প্রার্থনা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়।

মে মাস, খ্রীস্টীয় ক্যাথলিক মন্ডলীর মাতা মা মারীয়া চরণে নিবেদিত একটি বিশেষ মাস। এই উপলক্ষে প্রথমে রাঘবপুর সেন্ট পল’স বিদ্যালয় থেকে মা মারীয়াকে সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রা ও কীর্তন সহযোগে গীর্জা প্রাঙ্গণে গ্রোটোর সামনে সকল খ্রীষ্টভক্তরা উপস্থিত হন।

এরপর পবিত্র জপমালা প্রার্থনা ও পরে পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন রাঘবপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার যোসেফ টোপ্প এস.জে মহাশয়।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিস্টার বিনীতা ডি.এস.এ, সিস্টার অর্পিতা ডি.এস.এ এবং অন্যান্য ডি.এস.এ সিস্টারগণ এবং অন্যান্য খ্রিস্টভক্ত গণ ।

একমাস ব্যাপী মা মারীয়া গ্রোটোর সামনে গীর্জার বিভিন্ন সংগঠন ও সাব সেন্টারগুলিকে জপমালা প্রার্থনা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ।

এছাড়াও রাঘপুর গির্জার অধীনস্থ যে সমস্ত গ্রামে ক্যাথলিক খ্রীস্টীয় ধর্মালম্বীরা বসবাস করে থাকেন, সেই সমস্ত গ্রামের শান্তির জন্য গ্রামবাসীরা সকলে মিলে এবং সর্ব ধর্মের মানুষেরা মিলে মায়ের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠেন।

বিকালে জপমালা প্রার্থনা ও পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করার ব্যবস্থা করে থাকেন গ্রামবাসীরা এবং তারপর সারা রাত্রি ব্যাপী পদাবলী খ্রীস্টীয় কীর্তন গানের আয়োজন করে থাকেন।

এই অনুষ্ঠানের আগে অথবা এই অনুষ্ঠানের পরে মা মারীয়াকে নিয়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে  করানো হয় সেই বাড়ির ও গ্রামের শান্তির উদ্দেশে।

গ্রামের এক ভক্ত বলেন “মায়ের প্রতি এই শ্রদ্ধা ভক্তি দেখে আমরা এটাই উপলব্ধি করি, আমাদের খ্রীস্টীয় ক্যাথলিক মন্ডলীর মাতা, মা মারীয়ার মধ্যস্থতায় আমরা যদি কোন প্রার্থনা রাখি, সেই প্রার্থনা মা ঠিক পূরণ করেন । আমাদের এই প্রার্থনা তিনি যীশুর কাছে পৌঁছিয়ে দেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মা দেখা দিয়েছেন এবং আমাদের যীশুর কাছে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন

যীশুর প্রতি আমাদের বিশ্বাস তিনি আরও গভীর ও দৃঢ় করে তুলতে সাহায্য করেন

এই বিষয়ে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত এবং ডি.এস.এ সিস্টারগণ গ্রামবাসীদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে থাকেন। মা মারীয়ার প্রতি এই রকম শ্রদ্ধা ও ভক্তি দেখে পাল পুরোহিত মহাশয় তাদের আরও উৎসাহ ও সহযোগিতা দান করে থাকেন।

প্রতিবেদন - তন্ময় মন্ডল