বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ক্যাথিড্রালে ২০২৫ জুবিলি বছরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
গত ২৯ শে ডিসেম্বর ২০২৪,পুণ্য পরিবারের পার্বন দিনে বারুইপুরের বিশপ শ্যামল বোস, পোপ ফ্রান্সিস নির্দেশিত একযোগে জুবিলি ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।দুপুর ২টায় বারুইপুরপল্লী উন্নয়ন সমিতি থেকে মহা সমারোহে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানের উপলক্ষে বিশপ শ্যামল, ধর্ম প্রদেশের সমস্ত পুরোহিতবর্গ, সিস্টার ও ব্রাদারগণ ও প্রতিটি ধর্মপল্লী থেকে আগত আমন্ত্রিত ভক্তমন্ডলী পল্লীউন্নয়ন প্রাঙ্গনে সমবেত হন। শুরুতেই দিনের তাৎপর্য ও জুবিলি বৎসরের ইতিহাস পাঠ করেন শ্রী জোয়াকিম ক্যাম্পো।তার পর ফঃ উজ্জ্বল মন্ডল মঙ্গল সমাচার থেকে পাঠ করেন।
এরপর বিশপ উদাত্ত্ব কণ্ঠে পবিত্র ক্রুশের আরাধনা শেষে ক্রুশ নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে পল্লীউন্নয়ন প্রাঙ্গন পরিক্রমা করে সকল পুরোহিত ,সিস্টার ও ভক্তমন্ডলী শোভাযাত্রা করে ক্যাথিড্রালের দিকে অগ্রসর হন।নিখিল সাধু সাধ্বীর স্তব,গান ও প্রার্থনায় সকলকে সম্মিলিত ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়।
ক্যাথিড্রালে সমবেত ভক্তমন্ডলীর সামনে জুবিলি পতাকা উত্তোলন করেন বিশপ শ্যামল বোস। 'তুমি আমার বন্ধু যীশু' এই গানের সুরে কণ্ঠ মিলিয়ে জয়ন্তী বর্ষের প্রতীকী হিসেবে গির্জার প্রধান দ্বার উন্মুক্ত করেন মাননীয় বিশপ। সাথে সাথেই দিনের অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয় মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে।
শিশুদের শোভাযাত্রা নৃত্যের সাথে পুরোহিতবর্গ বেদীতে প্রবেশ করেন। খ্রীষ্টযাগ উদযাপন করেন বিশপ শ্যামল বোস, প্রাক্তন বিশপ সালভাদোর লোবো,ভিকার ফঃ কনৌজ রয় ও প্রো ভিকার ফঃ দীপক এক্কা।পৌরহিত্য করেন মাননীয় বিশপ শ্যামল বোস।
বেদীতে ক্রুশ প্রতিস্থাপনের পর দীক্ষাস্নানের জল আশীর্বাদ ও সিঞ্চনের পর বাপ্তিস্মের শপথ বাক্য পুনরুচ্চারণ করান বিশপ।জয়ন্তী বছরে বিশ্বাসের ভিতকে আরও সুদৃঢ় করা ও ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা, অনুগ্রহ লাভ করার তিনি আহ্বান জানান।
উপদেশে তিনি সকলকে আশার তীর্থযাত্রী হওয়ার কথা বলেন।ধর্ম প্রদেশের বিভিন্ন ধর্ম পল্লীকে তীর্থস্থান মনে করে ভ্রমণ করতে পরামর্শ দেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি 'ঈগলের বাসা ' উপাখ্যানের রেশ টেনে বলেন,"প্রকৃত খ্রীষ্টের অনুসারী হতে হলে আমাদের কষ্ট করতে হবে"।
এরপর জুবিলির বছরের জন্য অনুবাদিত একটি বই প্রকাশ করা হয় এবং এরজন্য ফঃ প্রদীপ ওফঃ উজ্জ্বল কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান হয়।
সব শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফঃ কনৌজ রয়।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ফঃ তুষার অগস্টিন গোমেস। শেষে সকলের জন্য চা জলপানের আয়োজন করা হয়।
অরিত্র সেন ও তার কয়ারের সুরেলা গান পরিবেশন ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২৫- এর জয় জয়ন্তী প্রানবন্ত ও বর্ণময় হয়ে উঠে। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।