রাজশাহী সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হল পবিত্র শিশুমঙ্গল দিবস

সুরশুনিপাড়া ধর্পল্লীতে উদযাপিত হল পবিত্র শিশুমঙ্গল দিবস

গত ১৭ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত সুরশুনিপাড়া ধর্পল্লীতে উদযাপিত হল পবিত্র শিশুমঙ্গল দিবস ।

এ বছর পবিত্র শিশুমঙ্গল দিবসের মূলসুর ছিল, “তোমরা আশার বীজ বপন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহুত।” এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ২৮২ জন শিশু এবং ৩৯ জন এনিমেটর এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার সাগর কোড়াইয়া ও ধর্মপল্লীর সিস্টারসহ পার্শবতী ধর্মপল্লীর ফাদার স্বপন মার্টিন পিউরীফিকেশন ও ফাদার সুজন গমেজ।

প্রথমেই ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

ফাদার প্রদীপ কস্তা কথা বলেন, “শিশুরা মণ্ডলীর ভবিষ্যত। আজকের শিশুদের যত্নের ওপরই নির্ভর করছে আগামীর শিশু কেমন হবে। শিশুদের যত্নে মণ্ডলী, পরিবার ও সমাজের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছ।”

সিস্টার লুসি কস্তা, এসসি মূলভাবের ওপর শিশুদের বলেন, “তোমরা আশার বীজ বপন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহুত। তাই তোমাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।”

ফাদার সাগর কোড়াইয়া তার বক্তব্যে বলেন, “শিশুদের ভালোমত পড়াশোনা করতে হবে, পিতা-মাতার কথা শুনতে হবে; সর্বপরি ভালো মানুষ হতে হবে।”

ফাদার সুজন গমেজ শিশুদের উৎসাহ প্রদান করে সকলের উদ্দেশ্য এপিজে আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তিটি স্মরণ করিয়ে বলেন, “স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন সেটাই যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না। তাই স্বপ্ন দেখতে হবে বড় হওয়ার।”

উল্লেখ্য যে, এবারের শিশুমঙ্গল দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশুরা বিষয়ভিত্তিক দেওয়ালিকা প্রস্তুত করে আনে।

দিনব্যাপী এই দিবসের মধ্যে ছিল শিশুদের মাঝে লটারীর মাধ্যমে গ্রামভিত্তিক নাচ-গান ও নাটক প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পবিত্র শিশুমঙ্গল দিবসে অংশগ্রহণকারী একজন শিশু বলেন, “আজকে আমার অনেক ভালো লাগছে কারণ আজকে আমি অনেক মজা করেছি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী এনিমেটর ববিতা ও ক্যারোলিনা মুর্মু বলেন, “শিশুমঙ্গল দিবস পালনের মাধ্যমে শিশুদের প্রতিভা বিকশিত হয়। এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন শিশুদের জন্য অনেক প্রয়োজন। সারাদিন শিশুদের সাথে থেকে আমার অনেক ভালো লেগেছে।” - জেরম অজয় মুরমু ও স্বর্ণলতা কিস্কু