আজ বিশ্ব টেলযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস

আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস

আজ ১৭ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবস। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবসের মূলসুর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, “ ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষরে সমতায়ন

এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সারা বিশ্বের জন্য আইটিইউ-এর যে মানদণ্ডগুলো রয়েছে, সেগুলোই, বিশ্বব্যাপী বাজার উন্মুক্তকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে উদ্ভাবন বৃদ্ধি নিশ্চিত করণ যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।

এই দিবস উপলক্ষে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকাররে প্রধান উপদষ্টো প্রফসের মুহাম্মদ ইউনুস তাঁর বাণীতে বলনে, “ টেলিযোগাযোগ সেবা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ  ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষরে সমান অংশগ্রহণ একটি বষৈম্যমুক্ত, আধুনকি সমাজ বির্নিমানণর র্পূবর্শত।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দশেরে টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি খাতরে উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তথ্যপ্রযুক্তি খাতরে সকল কর্মকান্ডে  স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা  নিশ্চিত করা হয়েছে।  জনগণরে সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করতে হয়রানি কমাতে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রে  “নাগরকি সেবাতৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,” বলনে প্রধান উপদষ্টো

তিনি  আরো বলনে, “সারা দেশে ইউনিয়ন নাগরকি সেবাকেন্দ্রের  মাধ্যমে বভিন্নি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা চালু করা হচ্ছে।

আমি জনগণরে জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত  করতে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস  সকলরে সম্মিলিত প্রচষ্টোয় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল সমতাভত্তিকি

বাংলাদেশ গড়ে উঠবেনিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা,” বলনে প্রধান উপদষ্টো মুহাম্মদ ইউনুস

জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দিবসটি পালিত হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, দিবসটির সূচনা হয় ১৮৬৫ সালের ১৭ মে, যখন প্যারিসে ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ কনভেনশনের মাধ্যমে গঠিত হয়ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন

পরবর্তীতে ১৯৬৯ সাল থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন শুরু করে আইটিইউ, যা আজও বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নকে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ফাইভ-জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন এবং আইওটি প্রযুক্তি শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটায়নি, বরং কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা বাণিজ্যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে।

ফলে, এসব প্রযুক্তি শুধু জীবনযাত্রা সহজ করেনি, বরং বিশ্বের নানা বৈষম্য সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ৭০ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যেখানে নারীর সংখ্যা ৬৫ শতাংশ। এর মানে ১৮৯ মিলিয়ন পুরুষ বেশি অনলাইনে রয়েছেন নারীদের তুলনায়। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বৈষম্য আরও প্রকট সেখানে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যেখানে পুরুষদের হার ৪১ শতাংশ।

বাংলাদেশে গত এক দশকে দেশটি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অধীনে মোবাইল ইন্টারনেট, সাইবার নিরাপত্তা, ওটিটি সেবা, ডিজিটাল পেমেন্ট, এবং স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

তবে এখনো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ এবং দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি রয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।- আরভিএ বাংলা বিভাগ