রাজশাহী ধর্মপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হল এইচএসসি পরীক্ষৌওর খ্রিস্টীয় গঠন প্রশিক্ষণ কোর্স

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এইচএসসি পরীক্ষৌওর খ্রিস্টীয় গঠন প্রশিক্ষণ কোর্স

গত ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দরাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশনের আয়োজনে ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো এইচএসসি পরীক্ষৌওর খ্রিস্টীয় গঠন প্রশিক্ষণ  কোর্স।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ২৫টি ধর্মপল্লী থেকে প্রায় ১৭৬ জন অংশগ্রহণকারী এবং বেশ কিছু এনিমেটর ফাদার, সিস্টার, ব্রাদার সহ প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহন করে।

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষৌওর খ্রিস্টীয় গঠন প্রশিক্ষণের মূলসুর ছিল, “মিলন সাধনা: অন্তভূক্তি-সংহতি ও বাণী প্রচারে যুব সমাজ; আশায় আনন্দিত হও”।

এই গঠন প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাদের যুবারা যেন জীবন সম্পর্কে সুন্দর ও সঠিক সিদ্ধান্ত এবং তাদের জীবনে বাস্তবমুখী শিক্ষা লাভ করতে পারে।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণটির শুভ উদ্বোধন করা হয় এবং শেষ হয় পবিত্র খ্রিস্টযাগ এবং সার্টিফিকেট বিতরণের মধ্য দিয়ে।

উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যন্সেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও। তিনি তার উপদেশে বাণীতে বলেন,  “তোমরা যুবক, তোমরা মণ্ডলীর প্রাণ শক্তি। তোমরাই পারো মন্ডলীকে সচল রাখতে।”

তিনি সকলকে আহ্বান করে বলেন মন্ডলীকে প্রানবন্ত রাখতে, যেন তোমরা যুবারা এক হয়ে মন্ডলীতে কাজ করতে পার।”

এবারের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ফাদার এবং প্রফেসরগণ তাদের জীবনের আলোকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সহভাগিতা করেন।

ফাদার প্যাট্রিক গমেজ তার পবিত্র বাইবেল নিয়ে সেশনে বাইবেল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন । তিনি  বলেন,  “বাইবেল জানা মানেই ঈশ্বর এবং তার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা”।

অন্যান্য বিষয় গুলোর মধ্যে ছিল: মাণ্ডলিক আইন:পারিবারিক জীবন,প্রজনন স্বাস্থ্য, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং, সেফ গার্ডিং এবং আরো কিছু বিষয় । উক্ত প্রশিক্ষণে বাইবেলভিত্তিক নাটিকা প্রতিযোগিতা, বাইবেল কুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  সবশেষে পবিত্র খ্রিস্টযাগ, সার্টিফিকেট বিতরণ এবং পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এইচএসসি  পরীক্ষৌওর খ্রিস্টীয় গঠন প্রশিক্ষণ  এর পরিসমাপ্তি হয়।

অংশগ্রহণকারী সুসমা লিণ্ডুয়ার বলে, “আমি অন্যদের সাথে খুব বেশি মিসতে পছন্দ করিনা, কিন্তু যখন দেখছি আমার অনেক পুরাতন বন্ধুরা একে একে আসছে তখন আর নিজেকে আটকাতে পারিনি, প্রথমে কোর্সে আসতে ইচ্ছা করছিল না আর এখন যেতে ইচ্ছা করছে না ।”

আরেকজন অংশগ্রহণকারী টুটুল গমেজ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলে, “বিশেষ করে আমি রাজশাহী যুব কমিশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই কোর্সের আয়োজন করার জন্য  কারণ এইখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে যা আমার পরবর্তী জীবনে কাজে লাগাতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি ।” - বেনেডিক্ট তুষার বিশ্বাস ও অঙ্গীতা রিতা ক্রুশ