ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত তুমিলিয়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ন্যায্যতা ও শান্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে এবং ভাওয়াল আঞ্চলিক পালকীয় পর্ষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ন্যায্যতা ও শান্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

গত ২১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত গাজীপুর জেলার তুমিলিয়া ধর্মপল্লীতে ন্যায় ও শান্তি কমিশনের উদ্যোগে এবং ভাওয়াল আঞ্চলিক পালকীয় পর্ষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ন্যায্যতা ও শান্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ।

এই সেমিনারের মূলসুর ছিল, “আশাময় সমাজ বিনির্মাণে পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ও পোপ লিও চতুর্দশ”। এতে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারের শুরুতেই সিস্টার সুপর্ণা রোজারিও’র প্রার্থনা পরিচালনা ও ফাদার ডমিনিক রোজারিও’র শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

ড. ফাদার লিটন এইচ গমেজ সিএসসি’র সার্বিক পরিচালনায় এ প্রশিক্ষণে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার শিমন প্যাট্রিক গমেজ,  অ্যাডভোকেট লিমেন ডি’কস্তা-জেলা জজ গাজীপুর,  অ্যাডভোকেট ফাদার আলবার্ট রোজারিও, মি. অমল গমেজ-অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার এবং মো. আলাউদ্দিন-অফিসার ইনচার্জ: কালীগঞ্জ থানা।

ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ‘আশাময় সমাজ নির্মাণে মানব-পরিবার, ন্যায্যতা ও শান্তি বিষয়ে পোপ মহোদয়ের শিক্ষা’ উপর সহভাগিতা করে বলেন, “আশা হল পিতা ঈশ্বরের নিকট থেকে প্রাপ্ত একটি উপহার, যার ভিত্তি হল বিশ্বাস, আর অনুশীলন হল ভালবাসা।”

তিনি আরও বলেন, “নিজের জীবনের পরিবর্তন অনুশীলনের মাধ্যমে ন্যায্যতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা শুরু হয়।” 

ধর্মপল্লীর ন্যায় ও শান্তি কমিটির সদস্যরা ন্যায্য ও সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে আহুত, নিজের পরিবারের প্রতি যত্নশীল, প্রার্থনার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিজের জীবনের নবায়ন, অন্তর্ভুক্তিকরণ মানুষের মধ্যে আশা সঞ্চার করে এবং বহুবিধ উদ্যোগের মাধ্যমে ধর্মপল্লিতে সেবাকাজ করতে পারে,” বলেন ফাদার গমেজ।

অ্যাডভোকেট লিমেন ডি’কস্তা বলেন, “বাংলাদেশের আইন ও মাণ্ডলিক আইনসমূহ অনুসরণ করে জমি-জমা সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনে খ্রিস্ট সমাজের সকল স্তরের ভক্তজনগণকে আমরা সেবা করতে পারি।”

ভূ-সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ঈশ্বর প্রদত্ত দায়িত্ব, তাই উপযুক্ত বিধিবিধান অনুসরণ ও সঠিক দিক্নির্দেশনার জন্য সঠিক পেশাদারী ব্যক্তির সহয়োগিতা গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন অ্যাডভোকেট ডি’কস্তা।

থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, “শিশুসুরক্ষা, নারীনির্যাতন, অন্যায় আচরণ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রকার সহযোগিতার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ সর্বদা প্রস্তত।”

সহকারী পুলিশ সুপার অমল গমেজ বলেন, “সমাজে সুরক্ষার জন্য পুলিশবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সকল প্রতিরক্ষা স্তরে অংশগ্রহণ করতে সন্তানদের উৎসাহিত করতে হবে। প্রশিক্ষণের শিক্ষা ও প্রেরণায় শান্তিস্থাপকগণ অনুধাবন করতে পারে। সুরক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে ন্যায়ের পথ ধরে শান্তির অন্বেষণ করতে হবে।” - ন্যায় ও শান্তি কমিশন ডেস্ক