কলকাতা মহা ধর্মপ্রদেশের আর্চ বিশপ হাউসে অনুষ্ঠিত হল খ্রীষ্টমন্ডলীতে সাধারণ খ্রীষ্টভক্তদের ভূমিকার ওপর প্যানেল আলোচনা
গত ২৮ শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ কলকাতা মহা ধর্মপ্রদেশের আর্চ বিশপ হাউসে অনুষ্ঠিত হল খ্রীষ্টমন্ডলীতে সাধারণ খ্রীষ্টভক্তদের ভূমিকার ওপর বিশেষ প্যানেল আলোচনা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের মহাধর্মপাল থমাস ডি’সুজা, ভিকার জেনারেল ডমিনিক গোমেজ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির মডারেটর ছিলেন সিস্টার দিক্সা এ.সি.।
প্যানেল আলোচনার মুখ্য আলোচক ছিলেন ফাদার ওরসন ওয়েলস, শ্রীমতি নাইজেলা এস কোলেনটাইন, শ্রী দিলীপ রোজারিও, শ্রী আলেকজান্ডার আন্তুনি এবং শ্রীমতি লাবিনা খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সিস্টার দিক্সা আগত সকল প্যানেললিস্টদের স্বাগত জানান এবং বিষয়বস্তুর ওপর আলোকপাত করেন। এরপর তিনি একে একে সকল প্যানেললিস্টদের কাছে খ্রীষ্টমন্ডলীতে সাধারণ খ্রীষ্টভক্তদের ভূমিকা কি সেই বিষয়ে তাদের নিজের নিজের মতামত জানতে চান।
ফাদার অরসন ওয়েলস বলেন, আমরা সবাই ভাবি যে খ্রীষ্টমণ্ডলীতে শুধুমাত্র ফাদার সিস্টারাই প্রার্থনা, নবাহ বা যেকোন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন তা নয়, সাধারণ খ্রীষ্টভক্তদেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
অন্যদিকে যুব কমিশনের পক্ষ থেকে আগত শ্রীমতি নাইজেলা বলেন “এক সময় আমিও খুব অন্তরমুখী প্রভৃতির মানুষ ছিলাম তবে, আমার পাল পুরোহিত আমাকে সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। তাই, আমি চাইব আমার মতন যারা আছেন তারাও এগিয়ে আসুন এবং মন্ডলীর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিন।
শ্রী আলেকজান্ডার বলেন “এমন একটা সময় ছিল যখন আমি নিজে কথা বলতে ভয় পেতাম কিন্তু একদিন আমার কলেজে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হল পবিত্র বাইবেল পাঠ করার জন্য। প্রথমে আমি ভয় পেলেও নিজের মনের মধ্যে সাহস যোগালাম এবং পাঠ করলাম। সেখান থেকে আমি অনুপ্রাণিত হলাম আশা করি আমার মতো যারা পিছিয়ে থাকেন তারাও এগিয়ে আসবেন।
মহামান্য আর্চ বিশপ বলেন “মন্ডলীতে সবাই যেন একত্রিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেটাই ছিল এই আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য আশা রাখি ভবিষ্যতে এটা ভালোই ফল দান করবে।
এরপর সিস্টার দিক্সা আগত অতিথিবর্গকে স্বাগত জানান যেন তারা এই বিষয়ে তাদের আরও কিছু জানার থাকলে প্যানেললিস্টদের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রশ্ন করতে পারেন।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষে আগত অতিথিদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন আর্চবিশপ থমাস ডি‘সুজা। সম্মাননা জ্ঞাপন শেষে ফাদার ডমিনিকের প্রতিনিধিত্বে সমবেতভাবে একটি খ্রীষ্টীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এরপর বিশপ হাউস এর পক্ষ থেকে আগত প্যানেলিস্ট এবং অতিথিবর্গকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। সবশেষে কলকাতা মহা ধর্মপ্রদেশের মহা ধর্মপাল থমাস ডি’সুজার আশীর্বাদ দানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। - তেরেসা রোজারিও