সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজে উদযাপিত হলো মহান শহীদ দিবস

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বনপাড়া সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস।

খিস্টযাগের মধ্যেদিয়ে শহীদের আত্মার কল্যানে প্রার্থনা, প্রভাত ফেরির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শহীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভোরে প্রভাতফেরির মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। সমবেত কন্ঠে গেয়ে ওঠে  ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভূলিতে পারি’, শহীদ মিনারের পাদদেশে উপনীত হলে প্রথমে বনপাড়া সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষ মহোদয় পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে অমর ভাষঅ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ফুলের তোড়া শহীদ মিনারে অর্পণ করে শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সকলে কালো ব্যাজ ধারণ করে।

সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ফাদার দিলীপ এস. কস্তা আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি ও জাতীয় জীবনে একুশের তাৎপর্য বর্ণনা করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “১৯৫২ সালের আন্দোলন ছিল সবচেয়ে জোরালো আন্দোলন কারণ এই আন্দোলনের মূলে ছিল প্রথমত জাতিসত্তার পরিচয়, স্বাধীনতা লাভের বীজ এখানে অঙ্কুরিত হয়েছিল।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের চেতনায়, বিশ্বাসে এই দিনটি আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে”। তিনি সকলকে  “ভাষার শুদ্ধ বানান ও সঠিক ব্যবহার করার জন্য আহবান জানান।”

অধ্যক্ষ ড. ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ বলেন, “পৃথিবীর কোন দেশের ইতিহাসে নেই যে মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য সন্তানেরা জীবন দিয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশে বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য বাংলার দামাল ছেলেরা জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষাকে পেয়েছি। তাই প্রতি বছর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা”।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের মনের মধ্যে যেন সর্বদা দেশপ্রেমে রাখি, দেশের সেবা করি এবং দেশকে ভালবাসি। একই সাথে দেশকে সামনে এগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বদায় চেষ্ঠা করি।”

পরে শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনায় ২১ শে ফেব্রুয়ারির উপর বিশেষ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা, ক্লাশ ভিত্তিক দেওয়ালিকা প্রতিযোগিতা এবং ‘মায়ের কাছে চিঠি লেখা’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।

পরিশেষে ফাদার পিউস গমেজ মাধ্যমিক শাখার ইনচার্জ, সকলকে সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। - পিতর হেম্ব্রম