পোপ ফ্রান্সিস তিমুর-লেস্তে দারিদ্র্য মোকাবেলায় সাহসী পদক্ষেপের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন

পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস দিলি , তিমুর লেস্টের রাষ্ট্র ভবনে তার বক্তব্য চলাকালীন সময়ে  সে দেশের দারিদ্র্যতা এবং পারস্পারিক সহিংসতার সকল বাধাসমূহ মোকাবেলা করার জন্য খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের মূল্যবোধকে প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।

এসময়ে  তার  পালকীয় সফরের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে তিনি তিমুর - লেস্তের  ভবিষ্যত গঠনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সকল শ্রেনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের , দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের প্রতি মনোনিবেশ করার আহব্বান জানান।

এছাড়াও শত দুঃখ কষ্টের  ও সামাজিক চ্যালেন্জের মাঝে নিজেদের বিশ্বাসকে অবিচল রাখার জন্য তিনি তিমুর জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন। তাদের এই বিশ্বাসের দৃঢ়তাকে উল্লেখ করে  ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে পোপ দ্বিতীয় জন পলের আগমনকে সার্থক বলে মনে করেন।

সকল দরিদ্র শ্রেনীপেশার মানুষের জন্য মৌলিক চাহিদা গুলো সঠিক বন্টনের কথা তিনি উল্লেখ করে বলেন যে পরবর্ততে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানব উন্নয়নের জন্য  আরো কর্মসংস্থানের জন্য ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া অভিবাসন রোধে কার্যকরী সমাধান তৈরি করা জন্য সকল শ্রেনীর মানুষের অংশগ্রহণকে আরো জোরালো করার আহ্বান জানান্  পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস। 

তিনি ঐ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো অর্থাৎ তেল, গ্যাসের  সঠিক সংরক্ষণের জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য  স্থানীয় নেতা কর্মদের প্রতি আহ্বান জানান। যেন উৎপাদনকৃত সকল  সম্পদ দেশের সর্বস্তরের জনগণের  কল্যাণে সঠিক ভাবে বন্টন করা হয়। এছাড়া ‍তিমুরের আগামী ভবিষ্যত নেতাদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে যথোপোযুক্ত প্রশিক্ষন প্রদানের কথা ও তিনি উল্লেখ করেন।

পুন্যপিতার মুলভাব অনুসারে তিনি তিমোরের সকল নেতা এবং নাগরিকদের দ্বারা গঠিত সকল সিদ্ধান্তগুলোকে বিশ্বাসের দৃষ্টিকোন থেকে পরিচালনা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। .

তিনি বলেন যে বিশ্বাস এমন একটি বিষয় যা অতীতকে আলোকিত করেছে  এবং টিকিয়ে রেখেছে । এই অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে অনুপ্রাণিত করবে ।

তরুণদের কথা উল্লেক করে তিনি বলেন যে তাদের মর্যাদা রক্ষা এবং তাদের শান্তিপুর্ন পরিবেশ সৃষ্টি, তাদের জীবন এবং মানবিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া বিভিন্ন সহিংসতা , অতিরিক্ত মদ্যপানসহ যা কিনা  যুব সমাজকে প্রভাবিত করে এই সমস্যাগুলোর বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একটি ন্যায় সমাজ গড়ে তোলার জন্য তিনি

 খ্রিষ্টীয় মুল্যবোধের আলোকে সুশীল সমাজ গঠন এবং  বৈষ্যম্যের বিরৃদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান। যাতে তিমূরে একটি গঠনমূলক ও সাফল্যমন্ডিত একটি ভবিষ্যত দেখতে পারে।

উল্লেখ্য যে  এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের তথ্যানুযায়ী তিমুর – লেস্তের জনসংখ্যার প্রায় ৪১.৮ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করত যা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪১.২ শতাংশ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া করোনার মহামারীর কঠিন  সময়ে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।

পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের তৈমুরে তার এই পালকীয় সফর সুসমাচারের মূল্যবোধের দৃষ্টিতে আরো ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের সম্ভাবনার আশা ও বিশ্বাসকে পুনরুজ্জিবীত করেছে। সংবাদ – আর ভি এ বাংলা বিভাগ ।