হিপ্পোর সাধু আগষ্টিনের গির্জা , মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর সংক্ষিপ্ত ইতিকথা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বন বনানী ঘেরা ধর্মপল্লী মঠবাড়ী, যা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত। ধর্মপল্লীহিপ্পোর সাধু আগষ্টিনের গির্জানামে পরিচিত। খ্রিস্টভক্তের সংখ্যা সর্বসাকুল্যে তিন হাজারের কিছু বেশী

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে মঠবাড়ী নাগরী ধর্মপল্লীর অধীনে ছিল। নাগরী ভাওয়াল অঞ্চলের প্রথম ধর্মপল্লী। মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর মানুষকে রবিবারের খ্রিস্টযাগ, বিয়ে, বাপ্তিস্ম, হস্তার্পণ, সমাধিস্থসহ পর্বীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য নাগরী যেতে হত।

১৯২১ খ্রিস্টাব্দে মঠবাড়ীকে নাগরীর উপ-ধর্মপল্লী হিসেবে ঘোষনা করা হয়। তখন মঠবাড়ীতে বর্তমান কবরস্থানের উত্তরপাশ লাগোয়া একটি টিনের চালা বেড়ার ঘরের গির্জা নির্মিত হয়। একই সময়ে পাকা গির্জার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নাগরীর ফাদারগন মঠবাড়ীতে এসে সকল ধর্মীয় কার্যাবলী সম্পাদন করতেন।

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে মাইলাপুরের মন্ডলী পরিচালক মঠবাড়ীকে উপ-ধর্মপল্লী থেকে ধর্মপল্লী ঘোষনা করেন। ধর্মপল্লীর প্রথম আবাসিক পালক পুরোহিতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ফাদার ফ্রান্সিস সেলিস ডি. সিলভা। ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠাকালে মঠবাড়ীর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০ জনের মত। কালের পরিক্রমায় ইট সুরকির তৈরী পুরোনো গির্জা ঘরটি ব্যবহারের উপযুক্ততা হারায়। পুরোনো গির্জার দূরাবস্থার বিষয় আর্চবিশপ মহোদয়ের দৃষ্টিতে আনা হলে আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও ডিডি মহোদয় নতুন গির্জা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করেন।

২০০৩ খ্রিস্টাব্দে আগষ্ট মাসে মঠবাড়ী গির্জার প্রতিপালক সাধু আগষ্টিনের পার্বণের সময় গির্জা নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও অসুস্থ থাকায় বিশপ থিউটনিয়াস ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন

পালক পুরোহিত ফাদার বনিফাস সুব্রত টলেন্টিনু সি.এস.সি. স্থানীয় জনগন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনুদান যোগাড় করে গির্জার নির্মান কাজ শুরু করেন। মাত্র ১৬ মাস সময়ে গির্জার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।

২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারী মঠবাড়ী ধর্মপল্লীর নতুন গির্জা উদ্বোধন করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের প্রদেশপাল আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি. রোজারিও সিএসসি।