সিউলের আর্চডায়োসিসে নিযুক্ত হল ১০০০তম পুরোহিত

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যাথলিক খ্রীষ্টমণ্ডলী একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, কারণ সিউলের আর্চডায়োসিস তার ১,০০০ তম পুরোহিতকে নিযুক্ত করেছে।
সিউল ধর্ম প্রদেশের আর্চবিশপ পিটার চুং সুন-তাইক ৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ংডং ক্যাথেড্রালে ২৬ জন (অণুযাজক) ডিকনের অর্ডিনেশনের নেতৃত্ব দেন।
পঁচিশজন পুরোহিত ছিলেন সিউলের ধর্মপ্রদেশ থেকে, যার মধ্যে একজন ছিলেন রেডেম্পটোরিস ম্যাটার সেমিনারি থেকে।
পুরোহিতদের অভিষেকের একদিন আগে, ৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাথেড্রালে ১৭ জন সেমিনারিয়ানকে ডিকন পদে নিযুক্ত করেন আর্চবিশপ চুংও।
দুটি অনুষ্ঠানই সিপিবিসি ক্যাথলিক পিস ব্রডকাস্টিংয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল।
২৬ জন নতুন পুরোহিতের অভিষেকের মাধ্যমে, সিউলের আর্চডায়োসিসের পুরোহিতের সংখ্যা এখন ১,০০০, যার মধ্যে একজন কার্ডিনাল, একজন আর্চবিশপ, তিনজন বিশপ এবং চারজন মনসিগনর রয়েছেন।
নবনিযুক্ত ধর্মযাজকদের মধ্যে রয়েছেন ফাদার কিম ডং-জুন (ব্যাপ্টিজম নাম গ্যালিস্টো), যিনি একজন বধির ধর্মযাজক।
১৮ বছর আগে, দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার প্রথম বধির পুরোহিত, ফাদার পার্ক মিন-সিও-এর অভিষেক দেখেছিল, যিনি ২০২৪ সালের মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মতত্ত্বে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
এদিকে, ফাদার রিউ হো-জুন (ব্যাপ্টিজম নাম আন্দ্রেয়া) এবং ফাদার কিম ইয়ং-উ (ব্যাপ্টিজম নাম জন দ্য ব্যাপটিস্ট) যথাক্রমে ফাদার রিউ হো-ইয়ং এবং ফাদার কিম ইয়ং-জু-এর ছোট ভাই।
অতএব, আর্চডায়োসিস দুই সহোদর পুরোহিত পেয়েছে।
কোরিয়ার ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে ৫,৭২১ জন পুরোহিত ছিলেন। আরভিএ – ইংরেজি ওয়েবসাইট থেকে অনুলিখনে চন্দনা রোজারিও।