ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাট মারীয়া পল্লী সহ সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ–সুবিধার বাইরে আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না অনেক স্থানে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৫ হাজার বেজ ট্র্যান্সিভার স্টেশন (বিটিএস, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত) গতকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এগুলো চালু করতে তাঁরা কাজ করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় ২২ হাজার ২১৮টি ওয়েবসাইট অসচল রয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট সাইটের প্রায় ৪৯ শতাংশই অসচল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়া ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সিলেটে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৭ ঘণ্টায় সিলেটে ২৯৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।