বারুইপুর পল্লী উন্নয়ন সমিতির রূপ কলা চর্চা অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি

রূপ কলা চর্চা প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থীরা

গত ২১ ও ২৩ অগস্ট ২০২৪, দুদিন ব্যাপী পল্লী উন্নয়ন সমিতির রূপ কলা চর্চা প্রশিক্ষণের অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি তথা সংশাপত্র প্রদান অনুষ্ঠান সাড়ম্ভরে উদযাপিত হল।

প্রথম দিনে 'ফুলমালঞ্চ','চড়াইবিদ্যা','বারুইপুর''বেলেগাছি' এই চারটি সেন্টার ১৪০ জন ও দ্বিতীয় দিনে 'বাসন্তী',বিপ্রদাসপুর','নামখানা','দেওয়ানগঞ্জ''বারাসাত' এই পাঁচটি সেন্টার থেকে প্রায় ১৭৩ জন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিল। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কলা চর্চার অন্যতম অঙ্গ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানে।

[উদ্বোধনী নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু সকাল ১০ টায়।এরপর বিশিষ্ট অতিথিদের উত্তরীয় ও পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।তারপর অগ্নি প্রজ্জ্বোলনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।  পরিচালক ফঃ সৌমেন স্বাগত ভাষণ জানিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশনের মাধ্যমে পল্লীউন্নয়নের সামাজিক কর্মকান্ডের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন।

এরপর একে প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান চলতে থাকে।সমবেত গান ,নাচ ছাড়াও সাড়ি সজ্জা,কেশ বিন্যাস ওবিবাহ দম্পতির সাজ নিয়ে প্রতিযোগিতার পর্ব জমে ওঠে। কাকে ছেড়ে কাকে সেরা নির্বাচন করবে তাই নিয়ে বিচারকদের হিমসিম খেতে হয়।প্রত্যেক টা দল নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে।

অনুষ্টানের ফাঁকে চলতে থাকে বিশেষ অতিথি বর্গের ভাষণ।ফুলমালঞ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অম্বরীশ কুমার দত্ত বলেন,পল্লীউন্নয়নের সহযোগিতায় তাদের মেয়েরা যে এত সুন্দর ভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে,সেটা খুবই প্রশংসার। একই ভাবে মল্লিকপুর হাই স্কুলের প্রধানা শিক্ষিকা  মৌসুমি সেনগুপ্তা বলেন," এখানে না আসলে পল্লী উন্নয়নের এত বিশাল কর্মকান্ড আমার অজানা থাকতো"।

দেওয়ানগঞ্জ বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার বাবুলাল অধিকারী  বলেন,যেকোন প্রতিযোগিতা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।কতটা শিখেছি তার মূল্যায়ন করে।

বারুইপুর সহকারী বিডিও সঞ্জিত কুমার মৃধা বলেন,"প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে অংশ নেওয়াটাই বড় কথা"।

 প্রাক্তন পরিচালক ফঃ প্রদীপ বলেন,"সুযোগ অনেকের সামনে আসে,সেটাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতি করাটাই আসল কাজ"।

এরপর একেএকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সব শেষে রূপচর্চা শিক্ষার্থীদের হাতে সংশাপত্র ও ফেসিয়াল কিট তুলে দেওয়া হয় যাতে তারা সত্বর কাজ শুরু করতে পারে।  পুশ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নিষ্ঠা ও তৎপরতায় অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয।ফোটো সেশন

শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন  বর্তমান পরিচালক ফঃ সৌমেন মালিক। লাঙ্গল বেড়িয়ার শিক্ষিকাদের নৃত্য পরিবেশনের পর অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

এরপর সকলের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।

Tags