সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিযারস্ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা ও তারুণ্যের উৎসব

গত ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ লক্ষ্মীবাজারস্থ সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারস্ গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে  মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো পৌষের পিঠাপুলি উৎসব এবং তারুণ্যের মেলা ।

উক্ত এই অনুষ্ঠানে অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র ক্রুশ গীর্জার পালক পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার ডনেল ষ্টিফেন ক্রুশ সিএসসি  উক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ্ সিস্টার মেবেল কস্তা আরএনডিএম , ভাইস অধ্যক্ষ সিস্টার গ্রেসী গমেজ সহ অন্যান্য সিস্টারগণ এবং শিক্ষকমন্ডলী ।

সকালে জাতীয় সংঙ্গীত,পতাকা উত্তোলন এবং বিশেষ অতিথীসহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের শুভেচ্ছা এবং শুভ উদ্বোধনী বক্তেব্যর মধ্য দিয়ে  ফিতা কেটে এই অনুষ্ঠানের প্রারম্ভ ঘোষনা করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুইধাপে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকালের প্রথম ধাপে প্রাথমিক  এবং পরবর্তী দ্বিতীয় ধাপে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দএই আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

 বিশেষ অতিথীর বক্তব্যে ফাদার ডনেল স্টিফেন বলেন এই পিঠা উৎসব মূলত আমাদের বাঙ্গালী ঐতিহ্যকে লালন করার একটি প্রয়াস। এই পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক পিঠার নাম জানবে এবং তৈরি প্রনালীকে মনে রাখবে ।

স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার মেবেল কস্তা বলেন,“ বাহারী ধরনের পিঠা তৈরি করা বাংঙ্গালীর একটি ঐতিহ্য যা অতি প্রাচীন কাল থেকেই বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে।বিশেষভাবে শীত কালে আমাদের দেশে ঘরে ঘরে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আমাদের আজকের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই একটি আনন্দের বিষয়। কারন এর মধ্য দিয়ে তারা অনেক পিঠার নাম ও তৈরি প্রক্রিয়া সমন্ধে জানতে পেরেছে।তাই শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা নয় বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহ্যকে লালন করার স্বপ্নকে জাগ্রত রাখার এই প্রয়াস  এবং তারুণ্যের উচ্ছলতায় তোমরাই  দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে  সেই প্রত্যাশা তোমাদের কাছ থেকে”।   

মূলত এই পিঠা  উৎসব প্রতিযোগিতার  মূল লক্ষ্য ছিলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের মধ্যে থাকা  বাহারি পিঠার  প্রচলন ও উপস্থাপন ।  তাই প্রতিযোগিরা তাদের স্টল সাজিয়েছেন বিভিন্ন রকমের পিঠা দিয়ে। পিঠার বর্নালী বাহারে এবং শিক্ষার্থীদৈর হৈ্ইচই এবং আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে দিনটি সুন্দর ভাবে উদযাপিত হয়।