পুনর্নির্মিত নির্মল হৃদয় মা মারিয়া গির্জার শুভ উদ্বোধন

বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল শ্রদ্ধেয় বিশপ শ্যামল বোস নবনির্মিত নির্মল হৃদয় মা মারিয়া গির্জার শুভ উদ্বোধন করছেন।

বিগত ১৫ই অক্টোবর সম্মানিত অতিথিদের গৌরবময় উপস্থিতিতে নির্মল হৃদয় মা মারিয়া গির্জার  পুনর্নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি ছিল ঋষি বঙ্কিম নগর গির্জার শ্রদ্ধাভাজন ভক্তদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষার ফলস্বরূপ।

ঈশ্বরের অনুগ্রহে, শ্রদ্ধেয় পাল পুরোহিত ফাদার পথিনাথন এবং সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার ফাউটিন ব্র্যাঙ্কের নিবেদিত প্রচেষ্টা এবং খৃষ্টভক্তদের অবিচল সহযোগিতার মাধ্যমে এই মহৎ পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল শ্রদ্ধেয় বিশপ শ্যামল বোস মহোদয়, পাশাপাশি বিভিন্ন কংগ্রিগেশন ও ধর্মপল্লীর বিশিষ্ট পুরোহিত, সিস্টার, অতিথি এবং অনগণ্য খৃষ্টভক্তগণ।

অনুষ্ঠানটি প্রাক্তন ও বর্তমান পাল পুরোহিতগণের বর্তমান থাকার মাধ্যমে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, যারা নির্মল হৃদয় মা মারিয়া গির্জার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন এবং খৃষ্টভক্তদের সেবা প্রদান করে চলেছেন। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ সেবাদান ও নিবেদিত প্রাণের জন্য খৃষ্টভক্তগণ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি পবিত্র খৃস্টযাগের মাধ্যমে শুরু হয়, যা খৃষ্টভক্তদের অভ্যর্থনা জানানোর মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। খৃষ্টযাগের পর শ্রদ্ধেয় বিশপ শ্যামল বোস মহোদয়ের বক্তব্য, গির্জা ঘরের প্রাচীন ইতিহাস,  খৃস্টীয়  সঙ্গীত পরিবেশন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রদ্ধেয় বিশপ শ্যামল বোস মহোদয় তাঁর উপদেশে উল্লেখ করেন যে, তিনি এই ধর্মপল্লী নিয়ে গর্ব অনুভব করেন।​ কারণ, এই ধর্মপল্লীটি একটি ঐতিহাসিক কাজ সম্পন্ন করেছে, যেখানে বিশপ হাউসের আর্থিক অনুদান ছাড়াই সকল খৃষ্টভক্তদের আন্তরিক সহযোগিতায় এবং ফাদার ফাউটিন ব্র্যাঙ্কের নেতৃত্বে পুনর্নির্মাণ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি সত্যিই একটি স্বনির্ভর প্যারিশ, যা নির্মল হৃদয় মা মারিয়ার নামে উৎসর্গীকৃত এবং যার মাধ্যমে সোনারপুর, ক্যানিং ও ক্যাথিড্রাল ধর্ম প্রদেশের সম্প্রসারণ ঘটেছে।

গির্জা ঘরের এই পুনর্নির্মানের অনুষ্ঠান সকলকে একত্রিত করে তোলে এক অনন্য ঐক্যের বন্ধনে, শেষে জলখাবার ও মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়। গির্জাঘরের এই পুনর্নির্মাণ অনুষ্টানটি খৃষ্টভক্তদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতিবেদন - শোভরাজ ঘাঁটা