ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অনুষ্ঠিত হলো ঐক্যের আলোয় নবীন বরণ অনুষ্ঠান

জগন্নাথ হলের নরেশ চন্দ্র সেনগুপ্ত কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হলো ঐক্যের আলোয় নবীন বরণ অনুষ্ঠান

গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের নরেশ চন্দ্র সেনগুপ্ত কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হলো ঐক্যের আলোয় নবীনদের বরণ অনুষ্ঠান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ্রিস্টান ছাত্র সংগঠনের কাউন্সিল ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রার্থনা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করে বরণ করে নেওয়া হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার তপন ডি' রোজারিও, সহকারী অধ্যাপক, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় কুমার দে রিপন, সহকারী অধ্যাপক, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ, ও র‍্যাচেল প্যারিস, সহকারী অধ্যাপক, নৃত্যকলা বিভাগ।

প্রধান অতিথি ফাদার তপন ডি' রোজারিও তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তোমরা শুধু একটি সংগঠনের সদস্য নও, তোমরা খ্রিস্টের প্রেমের দূত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে যদি খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়, তবে সেটিই হবে তোমাদের সবচেয়ে বড় অবদান।”

বিশেষ অতিথি সঞ্জয় কুমার দে রিপন নবীনদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান অর্জনের জায়গা নয়, এটি চরিত্র গঠনের স্থান। তোমরা যেন সততা, সহানুভূতি ও নৈতিকতার পথে অটল থাকতে পারো সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অনুষ্ঠিত হলো ঐক্যের আলোয় নবীন বরণ অনুষ্ঠান

বিশেষ অতিথি র‍্যাচেল প্যারিস নবীনদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দিয়ে বলেন, “প্রত্যেকটি প্রতিভা ঈশ্বরের দান। সেই প্রতিভাকে সমাজের সকলের জন্য ব্যবহার করাই প্রকৃত কৃতজ্ঞতা। তোমরা নিজেদের মতো করে খ্রিস্টের ভালোবাসা প্রকাশ করো তাহলেই এই সংগঠন হবে সত্যিকারের আশীর্বাদের কেন্দ্র।”

অতিথিদের হৃদয়স্পর্শী বক্তব্যে নবীনদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল আত্মবিশ্বাস ও আশা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করেন, যা নবীনদের জন্য ছিল এক মূল্যবান দিকনির্দেশনা।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিল পর্ব। এই পর্বে সংগঠনের মডারেটর ফাদার তপন ডি' রোজারিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরাতন কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন, যাদের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “তাঁরা সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ, কার্যকর ও সেবামুখী রূপে গড়ে তুলবেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা বিস্তৃত হয়।”

পরিশেষে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ষোষণা করা হয়। - ক্লিন্টন ত্রিপুরা, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়