চলে গেলেন সি: অব চ্যারিটির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: সিস্টার ফেলিসিতা
গত ১৮ অক্টোবর ২০২৪,পশ্চিমবঙ্গের বারাসতে সিঃ অব চ্যারিটির জেরোসাভবনে মহাসমারোহে প্রয়াত সিস্টার ফেলিসিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
শেষের দিনগুলো তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে কৃষ্ণনগরের জুনিয়র হোলিফ্যামিলিতে কাটান।১৬ অক্টোবর সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ষ হলএক বর্ণময় সন্ন্যাস জীবন। আমি ওনাকে প্রথম দেখি হোলি চাইল্ড স্কুলে (সি.আই.টি)উচ্চ বিভাগে প্রধানা শিক্ষিকা হিসাবে।সালটা ১৯৮১। পরে মাদার সুপীরীয়র হয়ে তিনি আবার ফিরে আসেন।এই সময় থেকে ওনাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই।
শিক্ষিকা হিসাবে যেমন ছিলেন নিয়ম নিগড়ে বাঁধা রাসভারী মানুষ তেমনই মাদার হিসাবে ছিলেন ততটাই স্নেহপ্রবন কোমলপ্রান।ধর্মপল্লীর নানান কাজ করতে গিয়ে ওনার সান্নিধ্যে আসি।প্যারিশের যুবক-যুবতীদের গঠন মূলক কাজে উৎসাহ দান, নানা ভাবে অলক্ষ্যে সাহায্য করার প্রচেষ্টা স্মরণ করার মত।
সেবাব্রতী সংঘের আদর্শ সন্ন্যাসীদের অন্যতম মাদার ফেলিসিতা ,আমার মত আরও অনেকের হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরজীবী হয়ে থাকবেন।
সিস্টারের পারলৌকিক ক্রিয়াদি ও খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন ফঃ বার্ণাবাস সোরেন।সহযোগিতা করেন পাল পুরোহিত ও সহকারী পুরোহিত। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।