রাঘবপুর ধর্মপল্লীর অন্তর্গত দেবীপুর সাব-সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো তপস্যাকালীন শোভাযাত্রা

গত ১লা মার্চ শুক্রবার  ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে, রাঘবপুর ধর্মপল্লীর অন্তর্গত দেবীপুর সাব সেন্টারে তপস্যাকালের তৃতীয় শুক্রবারে যীশুর যন্ত্রণাভোগ কাহিনী স্মরণ করা হল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অন্যদিকে ৩রা মার্চ রবিবার গোষ্ঠমাঠ, শান্তি পল্লীতে পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করা হল।

উক্ত এই দুটি সাব সেন্টারে ছিলেন বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল শ্রদ্ধেয় বিশপ শ্যামল বোস ও রাঘবপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার যোসেফ টোপ্পো এস.জে.। এছাড়াও এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন দেবীপুর গ্রামের সকল ক্যাথলিক ও অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসী ভাইবোনেরা।
দেবীপুর গ্রামের গ্রামবাসীবৃন্দ অনুতপ্ত হৃদয়ের সাথে যীশুর যাতনা ভোগের কথা স্মরণ করেন এই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা আরম্ভের পূর্বে দেবীপুর গ্রামের খ্রীষ্টভক্তরা বিশপ মহোদয় ও পাল পুরোহিত মহাশয়কে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে বরণ করে স্বাগত জানান।
 শোভাযাত্রায় যীশুর যন্ত্রণা ভোগের ১৪টি তীর্থ স্মরণ ক’রে গির্জা প্রাঙ্গনে পৌঁছানো হয়। এরপর পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বিশপ মহোদয়।খ্রীস্টযাগ শেষে দেবীপুর গ্রামবাসী ও গীর্জা কমিটির পক্ষ থেকে শ্রীমতি ঝর্ণা করালী  বিশপ মহাশয়কে ও পাল পুরোহিত মহাশয়কে সংবর্ধনা ও ধন্যবাদ জানান।  
অন্যদিকে ৩রা মার্চ তপস্যাকালের তৃতীয় রবিবার সকাল ৭ ঘটিকায় বিশপ শ্যামল বোস মহাশয় ও পাল পুরোহিত ফাদার যোসেফ টোপ্পো এস. জে মহাশয়কে চন্দনের ফোঁটা ও মাল্যদানের মাধ্যমে স্বাগত জানিয়ে কীর্তন সহযোগে শোভাযাত্রা ক’রে গোষ্ঠমাঠ শান্তিপল্লী গির্জা প্রাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং উপাসনা আরম্ভ হয়। 
বিশপ মহাশয় তার উপদেশে বলেন “আমাদের শরীর হল ঈশ্বরের মন্দির। আমাদের মৃত্যু হবে এবং একদিন আমাদের শরীর মাটির সাথে মিশে যাবে  কিন্তু আত্মার কোনদিন বিনাশ হবে না।
খ্রীষ্টযাগ শেষে বিশপ মহাশয় সকল খ্রীস্ট ভক্তের উদ্দেশ্যে আশিষ বর্ষণ করেন সেই সাথে  প্রত্যেক পরিবারের জন্য একটি করে কার্ড ও একটি করে রোজারি মালা উপহার দান করেন।
খ্রীষ্টযাগ শেষে এই দুই সাব সেন্টারের পক্ষ থেকে বিশপ মহোদয় ও পাল পুরোহিত মহাশয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এই সর্বপ্রথম বিশপ মহাশয় প্রধান গির্জার অধীনস্থ সাব সেন্টার পরিদর্শন করলেন এবং সেখানকার খ্রীস্টভক্তদের সাথে সময় কাটালেন যা, সেখানকার খ্রীষ্টভক্তদের কাছে খুবই আনন্দ ঘন মুহূর্ত ছিল। -তন্ময় মন্ডল