
খুলনা ধর্মপ্রদেশের বাগেরহাট উপ-ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব
গত ১১ থেকে ১৩ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, খুলনা ধর্মপ্রদেশের বাগেরহাট মারীয়া পল্লী উপ-ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো তিন দিন ব্যাপী ফাতেমা রাণীর বার্ষিক তীর্থ উৎসব।
এ বছর ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসবের মূলসুর ছিলো “আজি আয়রে দলে গাই সকলে মা মারীয়ার জয়”। এই তীর্থ উৎসবে খুলনা ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে প্রায় ১০০০জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহ করেন।
পর্বীয় খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন ফাদার তপন ডি রোজারিও সহার্পিত করেন ফাতেমা রাণীর পাল-পুরোহিত ফাদার ডমিনিক কে. হালদার।
খ্রীষ্টযাগের উপদেশ ফাদার তপন ডি রোজারিও বলেন, “মা শব্দটি আমাদের হৃদয় কোন্দরে একটি ভালবাসার ছোঁয়া। যা আমাদের হৃদয়কে র্স্পশ দেয়। মা মানে মায়া, মা মানে মমতা। যিনি ভালবাসার আচল বিস্মৃত করে রাখে তিনিই মা।”
“ফাতেমা দর্শন কালে সেই যে তিন জন কিশোর-কিশোরী তারা কিন্তু মেষপালন কালে দীর্ঘ সময় টুকুতে যে ভাবে মায়ের পরিচয় পেয়েছে, ঠিক একই ভাবে আজ আমরা কিন্তু সেই একই মায়ের পরিচয় এখানে পাচ্ছি,” বলেন ফাদার তপন।
তিনি আরো বলেন, “মাতা মণ্ডলীর একটা বিশ্বাসের দরজা খুলে দিয়েছিন এই ফাতিমা। যার কারনে আজ আমরা ফাতেমা রানী মা মারীয়াকে গভীর ভাবে চিন্তে ও জানতে পেরেছি।”

এই তীর্থে অংশগ্রহনকারী প্রান্ত বিশ্বাস বলেন, “সে প্রতি নিয়ত মায়ের কাছে বিশেষ প্রার্থনা করে এবং প্রার্থনার ফল হিসেবে সে আত্মতৃপ্তি পায় মনে শান্তি খুজে পায়। আমি সব সময় মায়ের কাছে বিভিন্ন উদেশ্য জানিয়ে আমার নিজের জন্য এবং পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য প্রার্থনা করি।”
এই তীর্থে অংশগ্রহণকারী যুবা সাথী বিশ্বাস বলেন, “তার মা এক সময় অনেক অসুস্থ ছিলো ঠিক তখন সে অন্তরে গভীর বিশ্বাস নিয়ে মায়ের কাছে বিশেষ আর্শীবাদ চেয়ে তার মায়ের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছে এবং তার মা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন।”
উল্লেখ্য যে, এই তীর্থের প্রস্তুতি স্বরূপ তিন দিনের নভেনায়, পবিএ খ্রিস্টযাগ, মায়ের মূর্তি নিয়ে আলোর শোভাযাত্রা সহ রোজারী মালা প্রার্থনা করা হয়। - সিস্টার লাইলী রোজারিও, আরএনডিএম।
Add new comment