বিশ্ব অভিবাসী ও উদ্বাস্তু দিবসে পোপ ফ্রান্সিস  এর বাণী

পোপ ফ্রান্সিস ১২মে বৃহঃবার ২০২২ খ্রীঃ ৪ :২৭ মিনিটি তার বাণীতে বলেন,  ( Migrants and Refugees)অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় জীবন রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে, যদি তদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়।

বিশ্ব অভিবাসী ও উদ্বাস্তু দিবসকে কেন্দ্র করে  পোপ ফ্রান্সিস তার বাণীতে বলেন, ১২ মে ইতিহাসে আমাদেরকে দেখিয়েছেন যে, তাদের আগমন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মৌলিক ভূমিকা পালন করতে পারে।  এটা চলমান ছিল সত্য প্রকাশ করা পর্যন্ত। তাদের যুবশক্তি, তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা, ইচ্ছা শক্তি, ত্যাস্বীকার করার মনোভাব যার মধ্যে দিয়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আছে  তাদের  এই  অনুদান গুলো বড় পর্যায়ে ধারন করতে পারতো যদি তারা উন্নয়নশীল প্রোগ্রামের  মাধ্যমে সহযোগীতা পেত।

তাদের মধ্যে অনেক সম্ভবনাময় লুকিয়ে আছে, যা তারা সমাজের জন্য কিছু করতে পারে, যদি তাদেরকে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।

পোপ ফ্রান্সিস আরো বলেন, ১৯১৪ খ্রীষ্টব্দে দশম পিউস এই দিবসটি শুরু করেন। তাই প্রত্যেক বৎসর এই দিবসটি উদযাপন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার।

এই বৎসরে উদযাপন করা হবে, ২৫শে সেপ্টেম্বর ১০৮ তম বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস। এ দিবসের  প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘‘অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের নিয়ে ভবিষ্যত গড়ে তোল ‘’।

( Migrant and Refugees) আজকের এই বাণীতে ১২ হাজার শব্দ  দিয়ে বাণীটি প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে পোপ মহোদয় বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করেছেন অভিবাসী ও শরণার্থীদের ঝুঁকি পূর্ণ বিষয় ও অনেক সুযোগ সুবিধার বিষয়।

পোপ মহোদয় আরো বলেন, অভিবাসী ও শরণার্থীদের উপস্থিতি কাথলিক মণ্ডলিকে অনেক সমৃদ্ধি করতে পারে।  খ্রীষ্ট মণ্ডলীর প্রধানদের জীবন যাত্রাকে আরো শক্তিশালী করতে পারে কারণ খ্রীষ্টমণ্ডলী তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা প্রায়ই চার্চের অনুষ্ঠানে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আসে, যা অনুষ্ঠান গুলোকে আরো জীবন্ত করে তুলে।

পোপ মহোদয় দিনটি সমাপ্ত করেন যুবক যুবতীদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলে, ‘‘ভবিষ্যত গড়’’ অভিবাসী ও শরণার্থীদের সাথে থেকে। তার পত্রটি  শেষে ছোট একটি প্রার্থনা বলেন, ঈশ্বরের পরিকল্পনা যেন পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে এবং স্বর্গরাজ্যের ন্যায় ‍পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করে।

Add new comment

1 + 4 =