বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের অভ্যঞ্জন খ্রীষ্টযাগ

গত ২৬ মার্চ বারুইপুর  ধর্মপ্রদেশের বাসন্তীতে অভ্যঞ্জন খ্রীষ্টযাগ  মহা সমারোহে উদযাপিত হয়েছিল।

প্রথামত ক্যাথিড্রালে না করে সুন্দরবনের বাসন্তী ধর্মপল্লীতে এই অনুষ্ঠান করার একটি কারণ হল এই বছর  বাসন্তী মিশনের ১৫০ বছর পূর্তি হয়েছিল।  ১৫০ বছর আগে ওই ভূমিতে কাথলিক খ্রীষ্টবিশ্বাসের বীজ প্রথম বপন করেছিলেন  জেসুইট পুরোহিত  ফঃ দেলপাস।

আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ২২ অক্টোবর১৮৭৩ ,বাসন্তী মিশনের প্রতিষ্ঠা হয়। মারিয়াপল্লী,গোসাবা,রাণীগড়,ক্যানিং,বামনপুকুর ন্যাজাট আরও ছয় টি ধর্মপল্লী গড়ে উঠেছে। যেখান থেকে মোট ২২ জন পুরোহিত হয়েছেন। গর্বের বিষয় বর্তমান ধর্মপাল শ্যামল বোস মনসিনর  ফ্রান্সিস গমেস উল্লেখযোগ্য।

 প্রায় ১৮ ০০ খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ৮৪ জন পুরোহিত এই মহা খ্রীষ্টযাগে যোগদান করেছিল। বেলা টা,৩০ ,মিনিটে সুন্দর প্রনমি তোমায় এই গানে শোভাযাত্রা নৃত্যের মাধ্যমে খ্রীষ্টযাগ শুরু হয়।খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন  মাননীয় ধর্মপাল শ্যামল বোস।

বিশপ মহোদয় উপদেশে যাজক বরণ দিবসের গুরুত্বব্যাখ্যা করেন। বিশেষ ভাবে মণ্ডলীতে যাজকের কর্তব্য ,আদর্শ,দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

 শেষে সমবেত শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেক কে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর পর একে একে তেল আশীর্বাদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। 

 শেষ পর্যায়ে আমন্ত্রিত বর্তমান জেসুইট প্রভিন্সিয়াল কে পুষ্প স্তবক দিয়ে বিশপ  শ্যামল শুভেচ্ছা জানান।

খ্রীষ্টযাগের শেষে সকল ভক্তবৃন্দের জন্য হাল্কা জলপানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।

Tags