কলকাতা ডিনারী স্তরে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উদযাপিত হল

কলকাতা মহা ধর্মপ্রদেশের মহাধর্মপাল টমাস ডি'সুজা এবং মহিলা কমিশনের সদসাগণ

০ মার্চ ০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, কলকাতা ডিনারী স্তরে চার্চ অফ ক্রাইস্ট দ্য কিং গির্জায় আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উদযাপিত হল

দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র খ্রীষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে মিশা উৎসর্গ করেন কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের মহাধর্মপাল টমাস ডিসুজা, ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার বাসিল মান্ডি, ফাতিমা গির্জার পাল পুরোহিত ফাদার সতীশ মাখাল প্রমুখ।

উক্ত এই অনুষ্ঠানে কলকাতা ডিনারির বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে প্রায় ৩৩০ জন মহিলা অংশগ্রহণ করেন

অনন্দলোকে, মঙ্গোলালোকে এই প্রার্থনা সংগীত এবং নৃত্যের মধ্যে দিয়ে মহাধর্মপাল এবং পুরোহিতদের বেদীতে স্বাগত জানানো হয়

পবিত্র খ্রীষ্টযাগের পর সম্মানিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য ও সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহাধর্মপাল এবং পুরোহিতদের তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

মহা ধর্মপাল টমাস ডিসুজা বলেন মন্ডলীর কাজে আমাদের মায়েদের আরো সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে,যে ভাবে তারা তাদের পরিবারকে লালন করেন ঠিক একইভাবে মন্ডলী কেও গঠন করে তুলতে হবে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে, একসাথে পথ চলতে হবে

কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের মহিলা কমিশন এবং মহিলা কমিশনের আঞ্চলিক মুখ্য সচিব সন্ধ্যা ভিনসেন্ট বলেন শিক্ষাই একমাত্র মহিলাদের আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে পারে তাই, আমার বিনীত অনুরোধ আপনাদের মধ্যে থেকে যারা কম বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছেন বা বিশেষ কোনো কারণে তাদের লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তারা যদি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদেরকে তৈরি করতে পারেন তাহলে, তারা শুধুমাত্র নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারবেন তা নয় বরং তাদের পরিবারকেও স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবে

এরপর ধর্মপল্লীর একজন সদস্যা তারা কিভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন কাজ করে চলেছেন তা ব্যক্ত করেন, সেই সাথে অন্যান্য মহিলাদেরও ধর্মপল্লীর বিভিন্ন কাজে বিশেষ করে আশেপাশের মহিলাদের সচেতন করার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন

ধর্মপল্লীর মহিলা কমিশনের সদস্যরা কিভাবে অন্যান্য বঞ্চিত নারীরা তাদের অধিকার লাভ করতে পারবে এবং সেই অধিকার গুলি কি তা জানতে এবং কিভাবে তারা সমাজে স্বাধীনভাবে নিজেদের অভিব্যক্তি গুলিকে প্রকাশ করতে পারবে সেই বিষয়ে সচেতন হবার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন

সচেতনমূলক বক্তব্যের পর ধর্মপল্লীর মহিলারা  একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন এবং মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়।-সন্ধ্যা ভিনসেন্ট