রহনপুর ধর্মপল্লীতে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান ও সাধু যোসেফের পর্ব উদযাপন

সাধু যোসেফের ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো সাধু যোসেফের পর্ব ও হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

গত ১৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  রহনপুর সাধু যোসেফের ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো সাধু যোসেফের পর্ব ও হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান ।

এই পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিওসহ আরও ৫ জন যাজক।

সাধু যোসেফের পর্বকে কেন্দ্র করে ৯ দিন ব্যাপী নভেনা প্রার্থনা,  খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ ও পাপস্বীকার সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়।

উক্ত নভেনা খ্রিস্টযাগে সাধু যোসেফের মধ্যস্থতায় বিশেষ আশির্বাদ লাভ করার জন্য দলে দলে সাধু যোসেফের ভক্তগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও একই দিনে ধর্মপল্লীর ২২০জন ছেলে-মেয়েকে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান করা হয়।

পর্বের আগের দিনের সন্ধ্যায় সাধু যোসেফর মূর্তি সহযোগে আলোর শোভাযাত্রা ও  রোজারিমালা প্রার্থনা করা হয়। এই সময় নয়টি স্থানে সাধু যোসেফর গুণকীর্তন করা হয়।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগের আগে সকালে ক্রুশের পথ করা হয় এবং পরে যথারীতি পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়।

খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ বলেন, “সাধু যোসেফ হলেন আমাদের পালক পিতা। তিনি সকল পিতার আদর্শ। তার অনেক গুণাবলি রয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র পরিবার গঠনে, পালনে ও রক্ষণে তিনি আমাদের কাছে মহান আদর্শ। আমরাও যেন সাধু যোসেফর মত সহজ, সরল ও পবিত্র জীবন-যাপন করি।”

পর্বে অংশগ্রহনকারী একজন খ্রিস্টভক্ত শরৎ বারোয়ার বলেন, “আমি সাধু যোসেফের ভক্ত। সাধু যোসেফের গুণগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দান করে। আমি সাধু যোসেফের কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন আমিও তার মত আদর্শ পিতা হতে পারি এবং আমার সন্তানদের খ্রিস্টীয় আদর্শে মানুষ করতে পারি।”

সাধু যোসেফের ভক্ত সেলেস্তিনা টুডু বলেন, “আমি সাধু যোসেফের কাছে প্রার্থনা করেছি আমার স্বামী যেন সাধু যোসেফের মত হতে পারে।”

খ্রিস্টযাগের শেষে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও সকলকে  আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। - ফাদার যোয়াকিম হেম্ব্রম